দেশ 

সিএএ , এনআরসি ,রামমন্দির , ৩৭০ ধারা রদসহ মোদী-শাহদের হিন্দুত্বের প্রচারে সায় দিল না ঝাড়খন্ডের মানুষ , হেরে গেল বিজেপি , ক্ষমতায় এলো কংগ্রেস জোট

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরি : ঝাড়খন্ডে ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকে মোদী-শাহ ও বিজেপির নেতারা হিন্দুত্বের প্রচার শুরু করেছিলেন । ৩৭০ ধারা রদ করেছি আমরা । ক্ষমতা থাকে কংগ্রেস বলুক ৩৭০ ধারা আবার চালু করব , রাম মন্দির নির্মাণ চারমাসের শেষ হবে । অন্য দেশ থেকে আসা সব হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে । দেশজুড়ে এনআরসি করা হবে ।খুঁজে খুঁজে অনুপ্রবেশকারীদের বের করা হবে বলে ভোটে ঝাড়খন্ডের মানুষকে প্রতিশ্রূতি দিয়েছিলেন মোদী-অমিত শাহরা । অথচ রাজ্য বিধানসভার ভোট হিসাবে বিজেপির উচিত ছিল স্থানীয় ইস্যুকে বড় করে তুলে ধরা । সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরা তা না করে সরাসরি হিন্দুত্বের কানাগলিতে ,হিন্দুত্বের ললিপপ দেখিয়ে জেতার চেষ্টা করেছে বিজেপি । ফল , ঝাড়খন্ড ব্যালটে বুঝিয়ে দিয়েছে জাত নিয়ে ভাত নিয়ে কথা বলুক রাজনৈতিক দলগুলি ।

উল্টো দিকে কংগ্রেস জোট নির্বাচন প্রচারে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থানের দিশা দেখিয়েছে । মোদী-অমিত শাহ যখন সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কথা বলছেন রাহুল গান্ধী মেয়েদের উপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন । এই কারণে রাহুলের ঠাকুমার বাবাকে বড় ধর্ষক বলে অভিহিত করেছেন বিজেপির নেতারা । মোদী-অমিত শাহরা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এরূপ মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি , বরং নিরব থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন । কিন্ত ঝাড়খন্ডের মানুষ নিরবে তার প্রতিশোধ নিয়েছে । বিজেপির ঔদ্ধত্যের জবাব দিয়েছে ব্যালটে । ফলাফলে দেখা যাচ্ছে , সম্পূর্ণ পরিস্কার ফল স্পষ্ট করেছে ঝাড়খন্ডের মানুষ । তারা জানে যদি হাং বিধানসভা হয় তাহলে অমিত শাহ টাকার জোরে বিধায়ক কিনে সরকার গঠন করে ফেলবে । তাই স্পষ্ট জনাদেশ বিজেপি ২৫ , কংগ্রেস জোট ৪৬ অন্যান্য ১০।

Advertisement

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

thirteen − 4 =