দেশ 

জামিয়ায় রাতের অন্ধকারে পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ , ধর্নায় বসলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও , অস্বস্তিতে মোদী সরকার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রথম রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে অসম-ত্রিপুরার জনজাতি মানুষেরা । ধীরে সেই আন্দোলন দানা বাধতে থাকে । মেঘালয় ,অরুণাচল প্রদেশ , মণিপুরের পর বাংলা । এরপরেই রবিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়ার ক্যাম্পাসের ভিতরে পুলিশ ঢুকে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে । আর এই ঘটনাকে সামনে রেখে জামিয়া পাশে দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দাঁড়িয়েছে । শুধু তাই নয় , খোদ জামিয়ার ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া গেটের সামনে ধর্নায় বসলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী । তিনি দুঘন্টা প্রতীকি ধর্নায় বসেন ।

এদিন সকালেই সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে জামিয়ার দুই ছাত্রর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। অশান্তি এড়াতে এদিন প্যাটেল চক, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, ও উদ্যোগ ভবন মেট্রো স্টেশনও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। জামিয়া সংলগ্ন মথুরাপুর অঞ্চলে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখছে দিল্লির ট্রাফিক পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দোলনরত জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা রাতারাতি পাশে পেয়ে গিয়েছেন সারা দেশের অন্যান্য বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। রাতের অন্ধকারে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি জুলুমের ঘটনার নিন্দায় সরব গোটা দেশের ছাত্রসমাজ। আইআইটি বোম্বে, জেএনইউ, যাদবপুর, পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মধ্যরাতেই পথে নেমেছেন পাশে থাকার বার্তা নিয়ে।

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রোক্টর ওয়াসিম আহমেদ খানের অভিযোগ, রবিবার রাতে দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। ছাত্রদের নির্বিচারে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত ছাত্রদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আটক করা হয় ১০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রীকে। ছাত্রছাত্রীদের মুক্তির দাবিতে সরব বহু নাগরিক দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করেন। ঘটনার আঁচ পড়ে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানেও ছাত্র-পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আলিগড়ে ৩০ জন ছাত্র ও ১০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার রাতে পুলিশ বনাম ছাত্র খণ্ডযুদ্ধ বাধে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়েও। পটনায় গুজব রুখতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার আটক হওয়া ছাত্রদের সোমবার ভোরে ছেড়ে দেওয়া হলেও সকালে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এফআইআর করেছে পুলিশ। রাতের অন্ধকারে যখন এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল অশান্তি চলছে, তখন দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের। মধ্যরাতেই রাস্তায় নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্ররা একজোট হয়ে মিছিল করেছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েও। জামিয়ার ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। তবে সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, অতর্কিতে পুলিশি আক্রমণে আতঙ্কিত বহু ছাত্র ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

2 × five =