কলকাতা 

বিজেপি-আরএসএসের কথিত‘ দেশভক্তি’কে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরি : কয়েক বছর আগে উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়ায় ভয়াবহ অশান্তি হয়েছিল । সেই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন তা নিয়ে নতুন আর বলার কিছু নেই । তবে এটা মানতে হবে সেদিন যারা  বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেছিলেন সেইসব মুসলিমরা নেতারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না । যেভাবে পুলিশের গাড়িতে সেদিন ভাঙচুর হয়েছিল তা না করলে হয়তো অশান্তি এড়ানো যেত , বিজেপি-আর এসএসের এত বাড়বাড়ন্ত হত না । একই ঘটনা দেখে গেল ক্যাব আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে মুসলিমদের গণবিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর , অগ্নিসংযোগ , সেখানে মুসলিম নেতারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের ।

শুক্রবার ক্যাব বিরোধিতায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাক দিয়েছিল বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন । এদের মধ্যে ছিল জামাতে ইসলামী হিন্দ , জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ , এসআইও , পিএফআই , এসডিপিআই সহ একাধিক মুসলিম সংগঠন । জামাতে ইসলামী হিন্দের সভাটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সেই সভায় ভিড় ছিল দেখার মত । একাধিক ব্যক্তি সেখানে বক্তব্য রাখেন । প্রসূন ভৌমিকের মত উদারবাদী বুদ্ধিজীবী এই সভায় উপস্থিত ছিলেন । অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ডাকে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল ক্যাবের বিরুদ্ধে । একথা অস্বীকার উপায় নেই আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জেলা থেকে জমিয়তের বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তাদের সব কর্মসূচিই ছিল শৃঙ্খলা-পরায়ণ ।

Advertisement

সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরির নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের গতকালের কর্মসূচি এত সুন্দরভাবে হয়েছে যার প্রশংসা করতেই হবে । বিশেষ করে অন্য মুসলিম নেতাদের উচিত সিদ্দিকুল্লাহ-র বাস্তবমুখী নেতৃত্বকে অনুসরণ করা । বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দু-মুসলিম বুদ্ধিজীবী এক সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন । আর এটাকে ভালভাবে পরিচালনা করতে পারবেন একমাত্র মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি । তাই এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সব মুসলিম সংগঠনের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামা । আর সেই আন্দোলনের প্লাটফর্ম হিসাবে রাজ্য জমিয়তকে বেছে নিলে ভাল হবে বলে আমার অভিমত । কারণ ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে জমিয়েতের যে অবদান তা আরএসএসের নেই । তাই আরএসএসের কথিত দেশভক্তির সামনে চ্যালেঞ্জ হিসাবে জমিয়তকে দাঁড় করিয়ে দিলে দেশের মানুষের সামনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে বিরাজ করবে । অনেকের কাছে সিদ্দিকুল্লাহ গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারেন , তবে জমিয়তকে তো অস্বীকার করতে পারবেন না । তাই ক্যাব নিয়ে হোক কিংবা বিজেপির জনবিরোধী নীতি নিয়ে হোক মুসলিমদের আন্দোলন করতে হলে একটি প্লাটফর্মে আন্দোলন করা জরুরি । বিচ্ছিন্নভাবে না করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করলে তবে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

one × four =