দেশ 

পেট্রো-পণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি মোদী সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করে তুলেছে,২০১৯-এ ফিনিস?

শেয়ার করুন
  • 49
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলামঃ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মানুষকে তিনি আচ্ছা দিন উপহার দেবেন। দিন যতই গড়িয়েছে ততই প্রধানমন্ত্রীর মুখে ভাল বাক্য বর্ষিত হলেও মানুষকে সুদিন উপহার দিতে পারেননি। বরং সাধারণ মানুষের উপর দিন দিন বোঝা চাপানো হয়েছে। সরকারের কাছে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে মানুষ বিনা প্রতিবাদে নিরবে মেনে নিয়েছিল। আর স্বপ্ন দেখেছিল একদিন আমাদের জন্মভুমি ভারতবর্ষ বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠত্বের আসন পাবে। তাই মোদী যেদিন রাতের অন্ধকারে দেশবাসীকে সম্পূর্ণ অগোচরে রেখে নোটবন্দী করলেন,দেশের ১২৫ কোটি জনসাধারণকে ব্যাঙ্কের লাইনে ভিখারির মত দাঁড় করালেন সেদিনও মানুষ ভেবেছিল দেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার হবে আর আমাদের দেশের সুদিন ফিরবে। কিন্ত না মানুষের সঙ্গে সেদিন সস্পূর্ণ বিশ্বাস ভঙ্গ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিন মাস কষ্ট করুণ দেশের জন্য। কিন্ত সাধারন মানুষ ত্যাগ স্বীকার করলেও মোদীজির বন্ধুরা ত্যাগ স্বীকার করেননি। বরং এদেশের গরীব মানুষের অর্থকে আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন নীরব মোদী,বিজয় মালিয়া,ললিত মোদীরা। তাঁদেরকে এখনও পর্যন্ত ধরে আনতে পারেননি দেশের চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী।

সাধারন মানুষ এটাও মেনে নিয়েছিল,ভেবেছিল একদিন সুযোগ পেলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঠিক কথা রাখবেন। কিন্ত মানুষের সেই বিশ্বাসও ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে নীরব মোদীরা মোদীজির টার্গেট নন,মোদীজির টার্গেট এদেশের কৃষক,শ্রমিক,মেহনতি মানুষ,চাকরিজীবী মানুষ,মধ্যবিত্ত,নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। তাদের উপর রাষ্ট্রের বোঝা চাপানো হচ্ছে। কর থেকে শুরু নানা রকম পরিষেবা কর তাদের উপর আরোপ করে চলেছে মোদী সরকার। মড়ার উপর খাড়ার ঘায়ের মত এবার পেট্রো-পণ্যে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। একটানা ১৬ দিন ধরে পেট্রো পন্যের মূল্যবৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বে মোদী সরকার নীরব। স্বাধীনতা ৭২ বছর পর একমাত্র নরেন্দ্র মোদীই সাধারন মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে নিশ্চিন্তে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। এর আগে কোন সরকারের আমলে এভাবে একটানা পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়েনি। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হওয়ার পর পেট্রোপন্যের হাস্যকর দাম কমানোর হয়। গত ৫দিনে ডিজেলের দাম কমেছে মাত্র ৩১ পয়সা,আর পেট্রোলের দাম কমেছে মাত্র ২০ পয়সা। অন্যদিকে গ্যাসের দাম একলাফে ৫০ টাকা বড়িয়েছে। ভূর্তকিযুক্ত গ্যাসের দামও বেড়েছে প্রায় তিন টাকা। এক কথায় মোদী সরকার সমগ্র দেশবাসীর উপর এক নাগাড়ে বোঝা চাপিয়ে যাচ্ছে।আর এজন্য কোন অনুশোচনা নেই সরকারের। বরং প্রধানমন্ত্রী দিব্যি বিদেশ সফরে গিয়ে ফুর্তি করতে ব্যস্ত।

Advertisement

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন,সাধারণ মানুষের উপর যে বোঝা মোদী চাপাচ্ছেন তার খেসারত তাঁকে দিতেই হবে। কল্যণকর রাষ্ট্রে আম-আদমির সুবিধার জন্য ভুর্তকি চালু রাখা গনতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে। মোদীজি সেই রাজধর্ম পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আর এই ব্যর্থতার দায় থেকেই ২০১৯-এ দিল্লি থেকে ফিনিস হতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।


শেয়ার করুন
  • 49
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

five + 7 =