জেলা 

মাদ্রাসা বোর্ডের ফলে নজর কাড়ল গিমাগেড়িয়া হাইমাদ্রাসা, প্রথম দশের মধ্যে ঠাঁই দু’জনের

শেয়ার করুন
  • 281
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ ঘোষিত হয়েছে মাদ্রাসা বোর্ডের হাইমাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফল। এবার রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। হাইমাদ্রাসায় পাশের হার ৮২.০৪ শতাংশ। আলিমে পাশ করেছে ৮২.৬৭ শতাংশ ও ফাজিলে পাশ করেছে ৮৬.৮৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এবার বোর্ডের মেধাতালিকায় প্রথম দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ১৪ জন ছাত্র ছাত্রী। এদের মধ্যে ২ জন ছাত্রই পূর্ব মেদিনীপুরের গিমাগেড়িয়া ওয়েলেফেয়ার হাইমাদ্রাসার পড়ুয়া। প্রথমজন হল সৈয়দ সোনু আলি। এবার মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৪৬। অন্যদিকে নবম স্থানে রয়েছে এই হাইমাদ্রাসারই ছাত্র মুহাম্মদ ইউসুফ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৪০। দুই ছাত্রের এই ফলে যেমন তাদের পরিবারের লোকজন উচ্ছ্বাসিত, তেমনি স্কুলের শিক্ষক – শিক্ষিকা থেকে প্রতিবেশীরাও। হাইমাদ্রাসার টিচার ইনচার্জ আহমেদ হোসেন আলি শাহ জানান, এবার এই হাইমাদ্রাসা থেকে মোট ৬১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। এদের মধ্যে ৪৩ জন ছাত্র ও ১৮ জন ছাত্রী। ফলাফল অনুযায়ী ৯ জন ৭০০-র উপরে নম্বর পেয়েছে। ৭০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়েছে ৩০ জন। তাদের মধ্যে মেধাতালিকায় স্থান করেছে সোনু ও ইউসুফ। মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থানাধিকারি সোনু বাংলায়- ৯০, ইংরেজি-৯২, গণিত-৯২,ভৌতবিজ্ঞান – ৯৬,জীবন বিঞ্জান-৯৩, ইতিহাস-৯২, ভূগোল-৯৬ ও ইসলামিয় পরিচয়- ৯৬ পেয়েছে। অন্যদিকে নবম স্থানাধিকারি ইউসুফ ৯২.৫০ শতাংশ নাম্বর পেয়েছে। বিষয় ভিত্তিক ফলাফল, বাংলায়- ৮২, ইংরেজি-৯১, গণিত-৯৯, ভৌতবিঞ্জান-৯৯, জীবন বিঞ্জান- ৯০, ইতিহাস-৯০, ভূগোল- ৯৩, ইসলামিয় পরিচয়- ৯৬। আগামী দিনে দুজনেই ডাক্তার হতে চাই। ছেলের পড়া সম্পর্কে সোনুর আব্বা বাংলার জনরবকেে জানান, সোনু দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা করে পড়াশুনা করত। তবে পড়ার জন্য নির্ধারিত সময় ছিল না ওর। যখনই ভালো লাগত, তখনই পড়তে বসতও। অন্যদিকে ফল সম্পর্কে সোনুর বক্তব্য ভালো ফল হবে জানতাম। কিন্তু চতুর্থ হবে বলে ভাবিনি। এই অত্যন্ত খুশি বলে জানিয়েছে।

হাইমাদ্রাসার টিচার ইনচার্জ আহমেদ হোসেন আলি শাহের সঙ্গে চতুর্থ স্থানাধিকারী সোনু আলি ও নবম স্থানাধিকারী মুহাম্মদ ইউসুফ ও অন্য সফল পরীক্ষার্থীরা

Advertisement

দুই ছাত্রের এই ফলাফলে গর্বিত হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোসেন আলি শাহ্। ছাত্রীদের এই ফলে শিক্ষকরা গর্বিত বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সংখ্যালঘুদের সাংবাধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতিই মামলা করেছে। এর পর দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি মাদ্রাসাগুলিতে। শিক্ষক সংকট থাকা সত্ত্বেও এই মাদ্রাসা যে ফল করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।


শেয়ার করুন
  • 281
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fourteen − three =