জেলা 

দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিধানসভাতে লড়বে বিজেপি ; সমগ্র রাজ্য জুড়ে ৪০ হাজার ক্যাডার নিয়োগ করছে দল ; গুরুত্ব বাড়ছে মুকুলের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখেই লড়াই করবে বিজেপি । তবে মুকুল রায়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে । কারণ ২০১৯ –র লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপির উত্থানের নেপথ্যে দিলীপ ঘোষের সংগঠন আর মুকুল রায়ের কূট কৌশল কাজ করেছে বলে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেন ।

আজ শনিবার থেকে দূর্গাপুরে শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির চিন্তন বৈঠক । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে , এবার রাজ্য বিজেপির দৈনন্দিন কাজে আরএসএস সরাসরি হস্তেক্ষেপ করবে । এজন্য দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেখে দিলেও দিলীপ ঘোষকে সাহায্য করার জন্য আরএসএস থেকে একজনকে পাঠানো হবে । যিনি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মিলে কাজ করবে ।

Advertisement

এছাড়া জানা গেছে , বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে চল্লিশ হাজার ক্যাডার নিয়োগ করবে । যারা আগামী বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করবে । রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এরাই সংগঠনকে পরিচালনা করবে । এই সব ক্যাডারদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করবে দল ।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপি থেকে তাঁর কাজের চাপ কমানোর জন্য একজন কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। অমিত শাহ বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি হলেও জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উনি পার্টির খুঁটিনাটি কাজ সামলাচ্ছেন। একইভাবে দিলীপবাবু সাংসদ হওয়ার পর তাঁর কাজের চাপ অনেকটা বেড়েছে তাই তাঁকে সাহায্য করার জন্য কার্যনিবার্হী সভাপতি পদ তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে । আর এই কার্যকরী সভাপতি হবেন আরএসএস থেকে ।

দুর্গাপুরে সেই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ প্রত্যেক জেলা সভাপতি। এছাড়া রাজ্যের প্রত্যেক সাধারণ সম্পাদক, মোর্চার সভাপতি ছাড়াও শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সকলেই। এই চিন্তন বৈঠক চলবে রবিবারেও । এই বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে সভাপতি অমিত শাহের কাছে ।

রাজ্য বিজেপির অন্দরেই খবর, শেষ লোকসভা নির্বাচনে১৮টি আসন নিয়ে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের জন্য রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ভালো নম্বর দিয়েছে পার্টি। দার্জিলিং থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, দিলীপ যেভাবে দলের পতাকা হাতে ছোটাছুটি করেছেন তা কেন্দ্রীয় পার্টিতে প্রশংসা পেয়েছে।

সেই সঙ্গে মুকুল রায়-কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র চাণক্যনীতিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যকরি হয়েছে বলে মনে করেছে কেন্দ্রীয পার্টি। ২০২১ সালের আগে কেন্দ্র পার্টি ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙতে চায় না। কিন্তু, অরবিন্দ মেনন এবং কৈলাস বিজয়বর্গীকে এক রাজ্যে ফেলে রাখতে চায় না বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিজয়বর্গীয়কে অন্য কোনও বড় দায়িত্ব দিতে চায় বলেই খবর রয়েছে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

ten + fourteen =