আন্তর্জাতিক 

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্থানের পাশে নেই চিন !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কাশ্মীর ইস্যুতে চিন পাকিস্থান ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে বলল । ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লিকে আলোচনা ও পারস্পারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের আর্জি জানিয়েই কার্যত দায় সারল বেজিং। চিন সফরে রয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। বেজিং সূত্রে খবর, ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে হইচই করার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, তাতে চিনকে পাশে পেতেই কুরেশির এই সফর।

কুরেশির বেজিং সফর ঘিরে চিনের তরফে একটি বিবৃতি শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাতে শি চিনফিং সরকারের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান এবং ভারত দুপক্ষকেই আমরা আহ্বান জানাই যা বিতর্ক আছে, আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিক। কোনও পক্ষেরই উচিত নয়, একতরফা ভাবে কিছু পরিবর্তন করা। সবারই উচিত উত্তেজনা প্রশমনে সচেষ্ট হওয়া।’’

Advertisement

আগামী ১১ অগস্ট তিন দিনের বেজিং সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে। ১২ অগস্ট ভারত-চিন চতুর্থ মিডিয়া সামিট ফোরামে যৌথ বিবৃতি দেবেন দুই বিদেশমন্ত্রী। তার আগেই পাক বিদেশমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ।

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু কাশ্মীরের চেয়েও বেজিংয়ের বেশি মাথাব্যাথা ভারত-চিন সীমান্তের লাদাখ নিয়ে। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। পাশাপাশি জম্মু কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের মাধ্যমে লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ আগেই করেছিল চিন। ৫ অগস্ট রাজ্যসভায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পরের দিনই বেজিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল, নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তে চিনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হল।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fifteen − eight =