বৈশাখীর কান্নায় কুপোকাৎ তৃণমূল ; মিল্লি আল-আমীনের অধ্যক্ষার পদ ছাড়তে চাইলেও পার্থের নাকচ
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যে নিউজ পোর্টালগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলার জনরব-ই খবর করেছে যে আজ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন না । আদৌ তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম আমরা । দিনের শেষে পরিস্কার হয়ে গেল বাংলার জনরব-এর খবরটি সঠিক । বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন না । বরং বলা যেতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈশাখীর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করে ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ।
শুক্রবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয়। বৈঠক শেষে পার্থর বাড়ির থেকে বেরিয়ে বৈশাখী জানান, তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি।
বৈঠক শেষে বৈশাখী বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এসেছিলাম। পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমার বেশ কিছু অভিযোগও রয়েছে পদত্যাগপত্রের সঙ্গে। এই কলেজে দীর্ঘদিনের সংঘর্ষের ইতিহাস রয়েছে। কোথায় কোথায় দুর্নীতি রয়েছে, তা নিরপেক্ষ তদন্ত হলে উদঘাটিত হবে। চিঠির শেষ আমার পদত্যাগের কথা জানানো রয়েছে। তবে উনি পদত্যাগপত্র নাকচ করে দিয়েছেন’’। এ প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বলেন, ‘‘উনি (পার্থ) বলেছেন গ্রহণ করবেন না পদত্যাগপত্র। বলেছেন, নিরেপক্ষ তদন্ত করা হবে। আশা করছি সুবিচার হবে। তবে এই মুহুর্তে কলেজে যোগ দেব না। আমার সিদ্ধান্তে অনড় আমি। উনি (পার্থ) বলেছেন, তদন্তের পর যদি মনে হয় একই পরিবেশ রয়েছে, তাহলে তখন ভেবে দেখো’’।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে আল-আমীন মিল্লি কলেজের অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন । তখনই পরিস্কার হয়ে যায় তিনি পদত্যাগ করবেন না । কারণ কোনো কলেজের অধ্যক্ষ রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন না । এই হুমকি তিনি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে । তারপরেই দেখা শিক্ষামন্ত্রীর ফোন । তাহলে কী বলতে হবে আল-আমীন মিল্লি কলেজের আজকের পরিস্থিতি নেপথ্যে শিক্ষামন্ত্রী দায়ী !
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে পার্থবাবুকে ফোন করেছিলাম। উনি বলেছেন, আবেগের বশে এমন সিদ্ধান্ত নিও না। উনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। উনি বলেছেন, দোষীরা শাস্তি পাবেই। আমায় ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছেন। আমি বললাম, আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকলে খুবই লজ্জিত। আসলে ওঁর উপর তো কোনও রাগ নেই”। তাহলে কি ইস্তফা দিচ্ছেন না বৈশাখী? জবাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলেন, “আমার কলেজেরও সকলে আমায় সকাল থেকে ফোন করছেন, বলছেন ফিরে আসার জন্য। ওঁরা বলছেন, আমি না থাকলে কলেজের কী হবে। কিন্তু আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে তাতে আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে সরব না। ইস্তফা দেবই। যদি উনি (পার্থ) গ্রহণ না করেন সেটা আলাদা বিষয়”।
উল্লেখ্য, বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বৈশাখী বলেন, “দিদিকেই বলতে চাই। আপনি কি সত্যিই নির্দেশ দিয়েছেন যে, সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়ে চাকরি খেয়ে নেবেন! নাকি আপনার নাম করে অন্য কেউ এসব বলছেন’’।