কর্নাটকে চিটফান্ড কর্তার বাড়ি তল্লাশিতে মিলল ৩০৩ কেজি সোনা ! চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের
বাংলার জনরব ডেস্ক : চিটফান্ড সংস্থার মালিকের বাড়ি তল্লাশি করতে গিয়ে তদন্তকারীদের চক্ষু চড়ক গাছ । ছ’তলার উপরে সুইমিং পুল। তার মধ্যেই লুকিয়ে রাখা ছিল ‘খাজানা’। থরে থরে সাজানো ‘সোনা’র বাট। কর্নাটকের চিট ফান্ড সংস্থার এক কর্তার বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে তদন্তকারী সংস্থা এর সন্ধান পান । মনুসর খান নামে চিটফান্ড কর্তার বেঙ্গালুরুতে একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এমনই ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধান পেল কর্ণাটকের বিশেষ তদন্তকারী দল। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ৩০৩ কেজিরও বেশি ‘সোনা’ উদ্ধার হয়েছে। তবে সবই নকল!
ছ’তলার ওই ভবনের সুইমিং পুলের নীচে থেকে উদ্ধার করার পর গুনে দেখা যায় মোট ৫৮৮০টি সোনার বাট। যার ওজন ৩০৩ কেজি। সমস্ত নকল সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে এসআইটি।
এ রাজ্যে যেমন সারদা বা রোজভ্যালি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল, তেমনই মাস কয়েক আগে থেকে কর্নাটকে হইচই শুরু হয়েছে এই ‘আইএমএ’ পন্জি স্কিম নিয়ে। কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার খবর আঁচ করেই ‘আইএমএ’ কর্ণধার মনসুর খান পালিয়েছিলেন দুবাইয়ে। সেখান থেকে ফেরার পথে দিল্লি বিমানবন্দরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে মনসুর খানের প্রায় ২০৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এসআইটি। তার মধ্যে ২০টি স্থাবর সম্পত্তি এবং একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। আর্থিক প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ইডি)। গ্রেফতার করা হয়েছে সংস্থার ১২ জন ডিরেক্টর, বেঙ্গালুরুর ডেপুটি কমিশনার, বেঙ্গালুরু উত্তর মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সারদার মতোই একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং প্রভাবশালীদের যোগ থাকার প্রাথমিক প্রমাণও পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যেই কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক জামির আহমেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। আর এক প্রাক্তন বিধায়ক রোশন বেগকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস দিলেও তিনি ইডির সামনে হাজির হননি