‘ভারতের সংবিধান সব সময়ই সার্বভৌম ছিল, আছে এবং থাকবে। তাতে হস্তক্ষেপ করে উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা কখনওই সফল হবে না।’ : বিদেশ মন্ত্রক
বাংলার জনরব ডেস্ক : পাকিস্থান ভারতের সঙ্গে সব রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল ভারত সরকার।পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েও নয়াদিল্লির স্পষ্ট বার্তা, বিশ্বের কাছে বিপজ্জনক ছবি তুলে ধরার জন্যই পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। তবে প্রতিবেশী দেশের এই প্রচেষ্টা কখনওই সফল হবে না—। ৩৭০ অনুচ্ছেদ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে ভারতের কড়া বার্তা, পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত ‘একতরফা’।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব পাকিস্তান। পাক সংসদেও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-সহ অন্য মন্ত্রীরা কড়া সমালোচনা করেছেন। এর পর বুধবার ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর ইসলামাবাদে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করে ইমরানের সরকার। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ-সহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কই ছিন্ন করে ইসলামবাদ।
তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার নরমে-গরমে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। এক দিকে যেমন পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত একতরফা বলা হয়েছে, তেমনই আবার পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানিয়েছে নয়াদিল্লি। টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তানের কিছু একতরফা সিদ্ধান্তের কথা বিভিন্ন রিপোর্টে জানতে পেরেছি। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনমনের কথাও বলা হয়েছে।’
কূটনৈতিক স্তরের সব পন্থা যাতে আগের মতোই থাকে তার জন্য পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা এবং পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানানো হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের কড়া বার্তা, ‘এটা আশ্চর্যের নয় যে কাশ্মীরের সামগ্রিক উন্নতিতে ভারতের যে কোনও পদক্ষেপকেই পাকিস্তান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখে। আর সেই ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়েই নিয়ন্ত্রণরেখায় সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার ঘটনাকে সাফাই দেওয়ার কাজে লাগায় পাকিস্তান। বিশ্বের কাছে ভারতের এই পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে তুল ধরতে চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।’
৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সময়ই কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, ‘কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ সেই সুরেই বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া, ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের সংবিধান সব সময়ই সার্বভৌম ছিল, আছে এবং থাকবে। তাতে হস্তক্ষেপ করে উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা কখনওই সফল হবে না।’