দেশ 

কাশ্মীরে শুরু হয়ে গেল বিক্ষোভ ? গ্রেফতার ১০০ , পুলিশ –জনতার খন্ডযুদ্ধে আহত ৬ , মৃত এক সাধারন নাগরিক ; অবরুদ্ধ কাশ্মীর রাজ্যের মানুষ এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আগে কখনও হয়নি দাবি শাহ ফয়সলের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কেন্দ্র পাঠানো রিপোর্টে বলেছিলেন কাশ্মীর শান্ত আছে , কোনা অশান্তির খবর নেই । কিন্ত ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই অশান্তির সংকেত পাওয়া গেছে । সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী আজ বুধবার শ্রীনগরের যে চিত্রটা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে বড় ধরনের অশান্তি খবর পাওয়া গেছে। আরেএতেই আঁচ পাওয়া গেল প্রতিবাদবিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে উপত্যকায়। বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন হলেও পরিস্থিতিটা তেমনই। বিরোধীদের আশঙ্কা ছিলই। বুধবার দেখা গেল ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই শ্রীনগরের রাস্তায় প্রতিবাদবিক্ষোভে শামিল কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিক। সেই বিক্ষোভকে ঘিরেই সংঘর্ষ। ঘটল প্রাণহানির ঘটনাও। গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেকে। গ্রেফতারও হয়েছেন শতাধিক।  

এটা তো শুধু শ্রীনগরের চিত্র। উপত্যকার বাকি অংশের ছবিটা ঠিক কেমন, তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও বন্ধ ল্যান্ডলাইন, মোবাইল, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, কেবল পরিষেবা। সেগুলি চালু হলে এই প্রতিবাদবিক্ষোভ যে আরও বাড়বে, এমন আশঙ্কাই দানা বেঁধেছে পুলিশপ্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

৩০৭ ধারা রদকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরবাসী। তখনই অনেকে আঁচ করেছিলেন, এই শান্তি চিরস্থায়ী না হতে পারে। তাঁর আঁচ পাওয়া গেল দিনই। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই দিন দফায় দফায় বিক্ষোভমিছিল হয়েছে শ্রীনগরে। পুলিশসেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে একাধিক দলের।

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি দলের সঙ্গে পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। তার মধ্যেই এক জনকে তাড়া করে পুলিশ। সেই তাড়া খেয়েই ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেন ওই যুবক। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত জনের দেহে গুলির ক্ষত রয়েছে। ছাড়া আহত অনেকে।

অন্তত ১০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাও রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তা এই গ্রেফতারির খবর স্বীকারও করে নিয়েছেন। এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা। তবে ধৃতদের মধ্যে হেভিওয়েট কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রী আছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি ওই পুলিশকর্তা।

অন্য দিকে প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়সল কাশ্মীরের সামগ্রিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখছেন, ‘‘শ্রীনগরে জিরো ব্রিজ থেকে বিমানবন্দর, সব জায়গায় কার্যত কার্ফুর চেহারা নিয়েছে। রোগী এবং কার্ফু পাসধারী ছাড়া কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। জম্মুকাশ্মীর পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তার ভার তুলে নিয়েছে সেনা। শ্রীনগরের বাইরে অন্য জেলাগুলিতে ১৪৪ ধারা আরও কঠোর। রাজ্যের ৮০ লক্ষ মানুষ এই রকম পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেনি।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

20 − 19 =