‘‘বামেদের সঙ্গে কোনও জিনিস ঠিক করতে গেলে পাঁচ বার আলোচনা করতে হয়। এখন এত সময় নেই। সেমিনার, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে সরাসরি রাস্তায় গিয়ে সোজা কথা মানুষকে সোজা ভাবে বলতে হবে। তবেই এগোতে পারব।’’ সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণ সভায় সিপিএমকে বার্তা অধীরের
বাংলার জনরব ডেস্ক : ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দুর্বল হয়েছেন। তাই সুর বদলে সকলকে এক হতে বলছেন। আমাদের সংসদে সংখ্যা কমেছে। সুর বদলায়নি। আমরা বলছি, তৃণমূল আর বিজেপি দু’টোই বিপদ।’’ বক্তা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরি । স্থান ব্যারাকপুর সুকান্ত সদন । বিষয় ; প্রায়ত বাম নেতা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণসভা । এই স্মরণ মঞ্চকে হাতিয়ার করে অধীর চৌধুরি সরাসরি তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার আহ্বান জানালেন । তিনি বললেন , দলের স্বার্থে আমাদেরকে এক হতে হবে ।তাঁর বক্তব্য, ‘‘অবিলম্বে দুই পক্ষ এক হতে না পারলে কংগ্রেসও থাকবে না, সিপিএমও থাকবে না।’’
বাম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণসভায় এই প্রথম কোনো কংগ্রেস নেতাকে ডাকা হল । মূলত আগামী দিনে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রাখার তাগিদে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছের মানুষ অধীর চৌধুরিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সিপিএম বার্তা দিল আগামী দিনে এরাজ্যে অধীরের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই রাজনৈতিক লড়াই চালাবে ।
‘সুভাষ চক্রবর্তী ফাউন্ডেশনে’র উদ্যোগে এ দিনের আলোচনার বিষয়ও ছিল ‘অসহিষ্ণুতার বর্বরতা আর কতদিন?’ অধীরবাবু সেখানে বলেন, এর মোকাবিলায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে মানুষের কাছে দাঁড়ানোর কথাও বলেছেন অধীরবাবু। আলোচনায় সময় নষ্ট না করে পথে নামার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বামেদের সঙ্গে কোনও জিনিস ঠিক করতে গেলে পাঁচ বার আলোচনা করতে হয়। এখন এত সময় নেই। হল, সেমিনার, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে সরাসরি রাস্তায় গিয়ে সোজা কথা মানুষকে সোজা ভাবে বলতে হবে। তবেই এগোতে পারব।’’
সিপিএমের পলিটবুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমও অসহিষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর’ মানুষের ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলেন। সেলিম মনে করিয়ে দেন, ‘‘তৃণমূলের বিকল্প বিজেপিকে ভাবা বিরাট ভুল। বাংলায় পুরসভা ও পঞ্চায়েতে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েতে ৩৪% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। পাশের ত্রিপুরায় বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে ৮৭%। ফলে চিত্রনাট্য একই। মডেলও এক।’’
