দেশ 

আলোচনার সময় না দিয়ে সংসদে পাশ করানো হচ্ছে বিল অভিযোগ বিরোধীদের , মানতে নারাজ শাসক দল

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  সংসদের এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল ইতিমধ্যেই পাশ করেছে মোদী সরকার ।কিন্তু বিল পেশ, আলোচনা ও বিরোধীদের সংশোধনী দেওয়া নিয়ে শাসক শিবির সংসদীয় নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ করে সোমবার রাজ্যসভায় মানবাধিকার রক্ষা বিল নিয়ে আলোচনার সময় ওয়াক আউট করলেন তৃণমূলের সাংসদেরা। যদিও দিনের শেষে নির্বিঘ্নেই বিলটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার।

গত শুক্রবার বিলটি লোকসভায় পাশ হয়েছিল। সে দিন বেলা পাঁচটায় সেই তথ্য রাজ্যসভায় জানান সেক্রেটারি জেনারেল। তার পরে আজই বিলটি আলোচনার জন্য রাজ্যসভায় নিয়ে আসা হয়। এর বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের যুক্তি, ‘‘কোনও বিল নিয়ে আলোচনা শুরু করার আগে বিরোধীরা যাতে সংশোধনী আনতে পারেন সে জন্য এক দিন সময় দিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের কিছু না জানিয়েই বিলটি নিয়ে আসা হয়। তা ছাড়া, আগের দু’দিন সপ্তাহান্তের ছুটি থাকায় সংশোধনী দেওয়া সম্ভব ছিল না।’’

Advertisement

রাজ্যসভায় তৃণমূলের আর এক সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, ‘‘সংসদের বিষয় উপদেষ্টা কমিটি আসলে সময় ধার্য করা কমিটিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের লক্ষ্যই হল যত বেশি সংখ্যক বিল পাশ করিয়ে নেওয়া। কারণ বিভিন্ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি এখনও তৈরি হয়নি। ফলে বিল সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর দায় থাকছে না সরকারের।’’

শাসক শিবিরের এক নেতার কথায়, ‘‘তৃণমূল যুক্তিহীন কথা বলছে। সিপিএম সাংসদ ই করিম মানবাধিকার বিলে সংশোধনী এনেছিলেন। তা নিয়ে আলোচনা হয়। তৃণমূল তো শুনেছি সংশোধনী জমা দিয়েছিল। এ হল বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা।’’

চলতি বিলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে আগামী দিনে মানবাধিকার কমিশনের শীর্ষ পদে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও শীর্ষ আদালতের যে কোনও বিচারপতি বসতে পারবেন। এর ফলে ওই পদের গরিমা লঘু হতে চলেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিল সংক্রান্ত বিতর্কের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘‘কমিশনের শীর্ষ পদ যাতে ফাঁকা না থাকে তার জন্য ওই সিদ্ধান্ত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা পদমর্যাদায় সমান। শুধু প্রধান বিচারপতির উপর কিছু বাড়তি দায়িত্ব থাকে।’’

অভিযোগ ওঠে নিয়োগে স্বজনপোষণের। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘যে নিয়োগ কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, প্রধান বিরোধী দলের নেতা উপস্থিত থাকেন, সেই কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত। যদি নিয়োগকে বিরোধীরা সন্দেহের চোখে দেখেন, তা হলে কোনও গণতান্ত্রিক সংস্থা কাজ  করতে পারবে না।’’

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

five + nineteen =