দেশ 

উত্তরপ্রদেশের দরিদ্র মুসলিম পরিবারের বিদ্যুৎ বিল ১২৮ কোটি টাকা !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : যোগীর রাজ্যে আবার রের্কড । না , কোনো ভাল কাজ করার জন্য নয় । সরকারের পাঠানো বিদ্যুত বিলের দিক থেকে রের্কড সৃষ্টি করেছে যোগী আদিত্যনাথের বিদ্যুৎ দফতর । পাখা আর আলো জ্বলে শুধু মাত্র । সেই গরীব মুসলমান বাড়ির কর্তা বিদ্যুৎ বিল দেখে ভিরমি খাওয়া অবস্থা । এক হাজার . দুহাজার টাকা নয় , বা এক লাখ কিংবা এক কোটি টাকা নয় ১২৮ কোটির টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে । ভাবা যায় ! কোন রাজত্বে আমরা বাস করছি । মোদীজি ভোটের আগে বলেছিলেন প্রত্যেকের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হবে । তার মানে কী ১২৮ কোটি টাকা চাপিয়ে দেওয়া ।

সংসারের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায় । সেই বাড়িতে ১২৮ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল ।তা দেখে মাথায় হাত উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার এক মুসলিম পরিবারের।

Advertisement

হাপুর জেলার চামরি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সপরিবারে সেখানে বাস  করেন শামিম নামে এক ব্যক্তি। কষ্টেশিষ্টে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছিলেন। তাতেই এই পরিণতি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামিম জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে ২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। আলো-পাখা মিলিয়ে প্রতি মাসে ৭০০ টাকার মতো বিল আসে। কিন্তু সম্প্রতি বিল হাতে পেয়ে চোখ কপালে ওঠে তাঁর। তাতে ১২৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা মেটাতে বলা হয়।

শামিমের দাবি, প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। সম্বিৎ ফিরলে ছুটে যান বিদ্যুৎ দফতরে। হিসাবে কোথাও ভুল হয়েছে বলে জানান। কিন্তু তাঁর কথা কানে তোলেননি কেউ। ওই টাকা মেটানোর সামর্থ্য ছিল না তাঁর। তাই টাকা জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শামিম জানান, “কেউ আমাদের কথা শুনছে না। এত টাকা কী করে দিই বলুন তো? শুধু আলো-পাখা ব্যবহার করি আমরা। তাতে এত বিল হয় কী করে? মনে হচ্ছে, গোটা হাপুরের বিলই পাঠিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিল না মেটালে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিদ্যুত্ দফতর।’’

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে যোগাযোগ করা হলে, তাদের ইঞ্জিনিয়ার রাম শরণ বলেন, “সম্ভবত প্রযুক্তিগত ভুল হয়েছে। এটা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। আকছার হয়েই থাকে। বিলটি হাতে পেলে, সবকিছু খতিয়ে দেখব আমরা। ভুল হয়ে থাকলে, তা সংশোধন করে নতুন বিল দেওয়া হবে ওই পরিবারকে।”

এর আগে, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন কনৌজের বাসিন্দা আবদুল বসিত। বাড়িতে ২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ২৩ কোটির বিল ধরানো হয়।

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

4 × four =