কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন কিনা বুধবারই জানিয়ে দেবেন স্পিকার ; বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হবে কি না, তা আদালত স্পিকারকে বলে দিতে পারে না পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক : কর্ণাটকের রাজনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে । রাজ্যের স্পিকার সংবিধান মোতাবেক চলছেন না এই অভিযোগ করে ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতেই স্পিকার এ বার নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, আগামিকালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। অর্থাৎ বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার। এর আগে বিধায়কদের ইস্তফার পিছনে কোনও চাপ থাকতে পারে এবং সেটা খতিয়ে দেখার জন্য আগেই সময় চেয়েছিলেন স্পিকার। মঙ্গলবার সেই সময়টাই নির্দিষ্ট করে দিলেন স্পিকার অধ্যক্ষ।
গত বুধবার রাতের মধ্যেই কর্নাটকের বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে স্পিকারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তিনি তা না নিয়ে জানিয়েছিলেন, বিধায়করা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি এর পিছনে কোনও চাপ রয়েছে, তা যাচাই করে দেখার জন্য কিছু দিন সময় চান। তা ছাড়া অনেক বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্পিকার। এর পর বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, মঙ্গলবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
আজ সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া বিধায়কদের মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ–এর বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বিধায়কদের ইস্তফা গৃহীত হবে কি না, তা আদালত স্পিকারকে বলে দিতে পারে না। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি আদালত। অন্য দিকে সুপ্রিম কোর্টে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগী বলেন, বিধায়করা যদি বিধানসভায় না যেতে চান, তাহলে স্পিকার তাঁদের জোর করতে পারেন না। রোহতগীর আরও বক্তব্য, এই সরকার সংখ্যালঘু। এটাই সহজ পাটিগণিতের মতো স্পষ্ট।