দেশ 

কর্ণাটক-গোয়ার পর এবার বিজেপির টার্গেট মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান ! কমলনাথ-গেহলটরা সরকার বাঁচাতে কী পরিকল্পনা নিয়েছেন জানতে চান ? ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কর্ণাটক-গোয়ার পর এবার লক্ষ্য মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার । ইতিমধ্যে কর্ণাটক ও গোয়ার বেশ কয়েকজন বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন বা পদত্যাগ করে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছেন । এবার লক্ষ্য মধ্যপ্রদেশ ।

রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি না থাকার কারণে দিল্লি থেকে আর কোনও সহযোগিতাও প্রত্যাশা করছেন না কমল নাথ, গেহলটরা। ফলে এখন নিজেরাই তাঁদের সাত মাসের সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রাজস্থানের দু’শো আসনের বিধানসভায় সহযোগী মিলিয়ে ১১২টি আসন নিয়ে গেহলট তা-ও কিছুটা স্বস্তিতে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে প্রায় সুতোয় ঝুলে আছে কমল নাথের সরকার। ২৩১ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৬। অথচ কংগ্রেসের রয়েছে ১১৪। ১ জন সপা, ২ জন বসপা ও ৪ নির্দলের সমর্থন নিয়ে টিঁকে আছে সরকার।

Advertisement

গত কালই দুই রাজ্যে বাজেট পেশ হয়েছে। কমল নাথ শিবিরের আশঙ্কা, বিধায়ক ভাঙিয়ে বাজেট পাশ করতে না-দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। আর যদি এখনই সেটি না করে, অন্য ভাবে রাজ্য দখলের চেষ্টা চলবেই। মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতা জানান, ‘‘এ কারণেই কমল নাথ এক এক জন মন্ত্রীকে ৪-৫ জন বিধায়কের উপর নজরদারির ভার দিয়েছেন। যে বিধায়করা টলমলে, তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজে যোগাযোগ রাখছেন। সপা-বসপা, নির্দল বিধায়কদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন রাজধানী ছেড়ে না যান।’’

গত কাল বাজেট পেশের পর  রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলট জানিয়েছেন, রাজ্যের গ্রামবাসীরাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ‘‘এমনিতেই রাহুল গাঁধীর ইস্তফার পরে দলের টালমাটাল অবস্থা। কমল নাথ, গেহলটরা জানেন, এক বার রাজ্য হাতছাড়া হলে জাতীয় স্তরেও তাঁদের গুরুত্ব কমে যাবে। এ জন্যই তাঁরা মরিয়া।’’ কর্নাটক, গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙার প্রতিবাদে আজই সংসদ চত্বরে সনিয়া গাঁধী, রাহুল -সহ বিরোধী নেতারা ধর্না দেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া গোয়ার বিধায়কদের সংসদ ভবনে আনা হয় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করাতে। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘যে ভাবে বিরোধীদের ভাঙানোর চেষ্টা হচ্ছে, সেটি শুধু গণতন্ত্রে ধাক্কা নয়, অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়বে।’’ অম্বিকা সোনির শ্লেষ, ‘‘৩০০-র বেশি আসন পেয়েও বিজেপির খিদে মিটছে না!’’

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

10 + 9 =