দেশ প্রচ্ছদ 

বুধবার কুমারস্বামীর শপথ,কর্ণাটক থেকেই কী ইন্দিরার মতো ঘুরে দাঁড়াবেন রাহুল?

শেয়ার করুন
  • 12
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম

১৯৭৭ সালে কংগ্রেস সমগ্র দেশ থেকে প্রায় মুছে গিয়েছিল। দলের প্রধাননেত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজেও সেবার হেরে গিয়েছিলেন। কিন্ত শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রাঞ্জলতার কারণেই মাত্র তিন বছরের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী স্বমহিমায় ফিরে এসেছিলেন ভারতীয় রাজনীতিতে। সেদিন জয়প্রকাশ নারায়ণ,অটলবিহারী বাজপেয়ীরা কংগ্রেস এবং ইন্দিরা মুক্ত ভারত গড়ার শপথ নিয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। প্রায় ৪০ বছর পর ভারতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-র যুগলবন্দীও কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গোয়া, মনিপুর,মেঘালয় সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে মানুষের সমর্থন না পেয়েও রাজ্যপালদের সাহায্যে বিধায়ক কিনে সরকার গঠন করেছে। লক্ষ্য কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়া। প্রথম ধাক্কাটি খেল মোদী-শাহর নিজের রাজ্য গুজরাতে। বহু চেষ্টা করেও সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলকে রাজ্যসভায় হারাতে পারলেন না মোদী ও অমিত শাহ। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার কার্যত গলাধাক্কা খেলেন অমিত-মোদী কর্ণাটকে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর চালে কুপোকাৎ হলেন মোদী-অমিত শাহ। তবু শেষ চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যপালকে সামনে রেখে। তিনি একক বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে বিজেপি-র ইয়েদুরাপ্পাকেই সরকার গঠন করতে বলেন। সমস্ত নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ঘোড়া-কেনা বেচার মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা করেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু বাধ সাধে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় শনিবারই ইয়েদুরাপ্পাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমান দিতে হবে। সুপ্রিম কো্র্টের এই নিদের্শ-র পর বিজেপি নেতারা দাবি করতে থাকেন তাঁদের কাছে ম্যাজিক ফিগার আছে। শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রলোভন দেওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস কিংবা জেডিএস বিধায়কদের ভাঙাতে সক্ষম হননি মোদি-অমিত শাহরা। তাই বাজপেয়ীর পথ অনুসরণ করে আস্থাভোটে না নিয়ে পদত্যাগ করে সরে গেলেন ইয়েদুরাপ্পা।

Advertisement

ইয়েদুরাপ্পার এই পদত্যাগে আসলে জয় হল গণতন্ত্রের। জয় হল সংবিধানের। আয়ারাম-গয়ারাম রাজনীতিকে ব্যর্থ করে কংগ্রেস বিধায়করা আবার প্রমান করল সবার উপরে আদর্শ-নীতিই বড়। যাইহোক কর্ণাটকের রাজ্যপাল কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কুমারস্বামীকে বুধবার ১২.৩০ টায় শপথ নিতে আমন্ত্রন জানিয়েছেন এদিন কুমারস্বামীর শপথের মধ্য দিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে আবার নতুন করে কংগ্রেস প্রাসঙ্গিতা ফিরে পাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। ইন্দিরা গান্ধী কর্ণাটক থেকে তাঁর হারিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক গুরুত্ব ফিরে পেয়েছিলেন,সোনিয়া-রাহুল কী সেই পথেই আবার ভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের গুরুত্বকে ফিরিয়ে আনতে চলেছেন!


শেয়ার করুন
  • 12
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

two × 5 =