ভাই সব্যসাচীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার মোকাবিলায় করনীয় কী সেই পরামর্শ দিতে দাদা মুকুল রায় হাজির ; কী পরামর্শ দিলেন জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : ভাই সব্যসাচী দত্ত বিপদে পড়েছেন । না , বিপদ নয় বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পদ থেকে সব্যসাচীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনাস্থা এসেছে । তাই দাদা মুকুল রায় তো চুপ করে বসে থাকতে পারেন না । নীল নকশা তৈরি করতে হবে । মোকাবিলা করতে হবে অনাস্থার । সুতরাং সব্যসাচী বাড়িতে সটান চলে এলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় । একান্তে বৈঠক করলেন । আধ ঘন্টা ধরে বৈঠকে হল । ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ভবনে যখন বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তার কিছুক্ষণ আগেই ভাই সব্যসাচী ও দাদা মুকুল রায় বৈঠক সেরে ফেললেন । দাদা হিসেবে মুকল রায় বলে গেলেন সব্যসাচী যেন কোনো কথা না বলেন ।
সংবাদে প্রকাশ ,বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের ডিএল ব্লকে সব্যসাচী দত্তর বাসভবনে পৌঁছন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়। বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়কের বাড়িতে মুকুল আধঘণ্টা খানেক ছিলেন। বেরনোর সময়ে সংবাদমাধ্যমকে মুকুল রায় জানান, সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগতও। তাই সব্যসাচীর বাড়িতে তাঁর যাওয়া-আসায় অস্বাভাবিক কিছু নেই।
সব্যসাচীর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘‘সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে, ১৮ জুলাই ভোটাভুটি হবে। সে বিষয়েই মূলত কথা হয়েছে। কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে, তার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
মুকুল রায়ের এই মন্তব্য রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে বিধাননগর পুর নিগমে অনাস্থা আনা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সব্যসাচীকে তৃণমূল এখনও সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করেনি, সব্যসাচী নিজেও দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেননি। অর্থাৎ সব্যসাচীর বিরুদ্ধে জমা পড়া অনাস্থা প্রস্তাব খাতায়-কলমে এখনও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ই। সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সব্যসাচীর বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা মুকুল— এই ছবি ইঙ্গিতবহ।
বৃহস্পতিবার বিধাননগরের মেয়র বুঝিয়ে দিলেন, দল যে পদক্ষেপই করুক, তিনি নিজের অবস্থানে অনড়। মুকুল রায়ের সঙ্গে এ দিন ফের তিনি বৈঠক করলেন নিজের বাড়িতে। এবং বৈঠক শেষে সব্যসাচী নিজে মুখ না খুললেও মুকুল তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জানিয়ে গেলেন, অনাস্থার বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
