মোদীর রাজ্যে উচ্চবর্ণের হাতে দলিত খুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে আবার উচ্চবর্ণের হাতে দলিত যুবক খুন । অপরাধ সে দলিত হয়ে উচ্চবর্ণের মেয়ে ভালবেসে বিয়ে করেছিল । সেজন্য প্রকাশ্যে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থার খবর । এমনকি খুনের সময় পুলিশও উপস্থিত ছিল । কারন আপোষ মীমাংসার জন্য ওই যুবককে পুলিশ সঙ্গে করে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল ।
হরেশ কুমার সোলাঙ্কি নামের নিহত ওই দলিত যুবকের বাড়ি কচ্ছে। দুমাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে তিনি যাতে নিজের বাড়ি কচ্ছে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে তাঁর শ্বশুরকে যাতে বোঝানো হয়, এই আবেদন নিয়ে মেয়েদের হেল্পলাইন অভয়মে ফোন করেন তিনি।
অভয়ম হেল্পলাইনের কাউন্সিলর ভাবিকা সোমবার সন্ধ্যাবেলা ভারমোরে নিহত যুবকের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির বাইরে একটি সরকারি গাড়িতে যথন হরেশ বসেছিলেন, সে সময়ে ৮ জন ব্যক্তি তলোয়ার, লাঠি, ছুরি ও রড নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে।
পুলিশ তাদের এফআইআরে ৮ জন ছাড়াও নিহতের শ্বশুর দশরথসিং জালার নামও উল্লেখ করেছে। এফআইআরে জালাকে মুখ্য অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেদাবাদ গ্রামীণ পুলিশের তফশিলি জাতি–উপজাতি সেলের ডেপুটি সুপার পিডি মানভর জানিয়েছেন, “ঘটনার সময়ে একজন মহিলা কনস্টেবল উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তাঁর দায়িত্ব ছিল মহিলার বাবা মায়ের সঙ্গে আপোসে সহায়তা করা। পলাতক অভিযুক্তদের পাকড়াও করার জন্য আমরা অনেকগুলি টিম বানিয়েছি। অভিযুক্তদের যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধরা যায়, সে কারণে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণও সংগ্রহ করা হয়েছে।”
ভাবিকা জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি হরেশের ফোন পান। ফোনে হরেশ তাঁর স্ত্রীর বাবা–মায়ের সঙ্গে আপোস করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
“ভবেশ আমাকে ফোন করে সোমবার বিকেল চারটের সময়ে মাণ্ডাল বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতে বলেন, যাতে আমরা ভারমোর গ্রামে আমরা পৌঁছে দশরথসিং এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। ভবেশ বলেছিলেন, ওঁর স্ত্রী দুমাসের গর্ভবতী, বিয়ের পর থেকে উর্মিলা বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন।”
ভাবিকা বলেন, “আমাদের দল যথন একজন পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে মাণ্ডাল বাসস্ট্যান্ডে পৌছয়, আমরা দেখি হরেশ তাঁর মা সুশীলা বেন এবং ধীরুভাই ভাডভ নামের এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। দলটি সন্ধেবেলা দশরথসিংয়ের বাড়ি পৌছয় এবং ২০ মিনিট ধরে এক রাউন্ড কাউন্সেলিং চলে।”
পুলিশের কাছে করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, “সাতটা নাগাদ আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতে যাই। সে সময়েই আটজন লোক দশরথসিংয়ের সঙ্গে সেখানে পৌঁছে জোর করে ভবেশকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তলোয়ার, ছুরি, লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে। অভয়মের টিমকেও আক্রমণ করা হয়।”