কলকাতার বুকে পৈশাচিক ও নারকীয় কান্ড : বন্দুকের নল দেখিয়ে দিনের পর দিন নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ , অভিযোগ পেয়ে কীর্তিমান গৃহ-শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ
বাংলার জনরব ডেস্ক : মানুষ কতটা নিচে নেমেছে তার নজীর দেখে চমকে উঠতে হয় । শিক্ষক- ছাত্রীর সর্ম্পক বাবা মেয়ের মত । সেই সর্ম্পক কখনও কখনও ভালবাসায় বা প্রেমে পরিণত হয়ে যায় ঠিকই কিন্ত কোনো সময় নারকীয় বা পৈশাচিক সর্ম্পক হওয়াটা ঠিক নয় বা অপরাধ । কিন্ত এই নারকীয় ঘটনায় ঘটেছে খোদ কলকাতার বুকে । কলকাতা শহরের এক নামী স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বন্দুকের নলের সামনে দিনের পর দিন ধর্ষিত হতে হয়েছে । এই অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ওই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ।
সংবাদে প্রকাশ, রানিকুঠির নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বন্দুক দেখিয়ে খুন করার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেছে গৃহশিক্ষক বলে অভিযোগ। কিশোরী বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ডিসি সাউথ সুবার্বান সুদীপ সরকার জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের বাড়িতে গত কয়েক বছর ধরে পড়তে যায় ছাত্রীটি। অভিযোগ, সেখানেই রীতিমতো বন্দুক দেখিয়ে তার উপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন ওই গৃহশিক্ষক।আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা জানাজানি হলে ছাত্রীকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি।
নেতাজিনগরে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। তার বিরুদ্ধে আগেও ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত শিক্ষকের বাড়ি থেকে দুটি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়েছে। করা হচ্ছে ডাক্তারি পরীক্ষা। কিশোরীর বাড়ির লোকের সঙ্গেও কথা বলছে বাঁশদ্রোণী থানা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নেতাজি নগরের ওই বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালাত অভিযুক্ত রাজীব চক্রবর্তী। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলের ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায়, সে প্রথমে বাবা-মাকে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কোচিং ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ওই ছাত্রী।
তার পরেও পিছু ছাড়েনি ওই শিক্ষক। ছাত্রীর বাড়ি চলে যায় সে। শেষ পর্যন্ত বাবা-মাকে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী। এর পরেই পরিবারের তরফ থেকে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
