কলকাতা 

সব্যসাচীকে মেয়র পদ থেকে সরাতে গিয়ে বিধাননগরে কী ভাঙনের মুখে তৃণমূল ; কী বললেন মমতার ঘনিষ্ট নেত্রী কৃষ্ণা চক্রবর্তী ? জানতে চান ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  বেইমান –মীরজাফর বলে সব্যসাচীকে আক্রমণ করেছেন ফিরহাদ হাকিম । এরপরেই পাল্টা প্রতি আক্রমণ করেছেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত । এমনকি তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মেয়র পদ নিয়ে ভোটাভুটি করতে । তিনি বলেছেন করা কত ক্ষমতা আছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে ভোটাভুটি হলেই ।

এরপরেই ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে অনাস্থা আনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব । কিন্ত সোমবার পুরভবনে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় সব্যসাচীর পাশে বসে ছিলেন চেয়ারম্যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী । তিনি আবার বললেন , মেয়রের দৌড়ে তিনিও আছেন । তাঁর ইচ্ছা বিধাননগরের মেয়র হওয়া । প্রসঙ্গত বিধাননগর পুরসভা থাকার সময় তিনি ছিলেন পুর প্রধান । পরবর্তীতে কর্পোরেশন হওয়ায় তিনি চেয়ারম্যান হন।

Advertisement

তিনি সাংবাদিকদের কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন এত সহজে জমি ছাড়তে নারাজ বিধাননগরের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী৷ মেয়রের কুর্সিতে বসার ইচ্ছে যে তাঁরও রয়েছে প্রকাশ্যেই সব্যসাচীকে পাশে বসিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছেন৷

মেয়রের পদ নিয়ে আপাতত নজরে বিধাননগর৷ দল চাইলেও ইস্তফা দিতে নারাজ সব্যসাচী দত্ত৷ ফলে দল বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের তরফে৷ নির্দেশ পেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন ডেপুটি মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ জানিয়েছেন তিনি নিজেই৷ মেয়র আবার দলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সময় বলবে পুরনিগমের কতজন কাউন্সিলর আমার পক্ষে৷’’

এদিন বিকেলে নিজের ঘর ছেড়ে সোজা চেয়ারপার্সনের ঘরে চলে যান মেয়র৷ কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলতে থাকেন, দল দলের হয়ে পদক্ষেপ করবে৷ তবে আপাতত বিধাননগের দায়িত্বে রয়েছেন সব্যসাচী দত্তই৷ এক ফাঁকে তিনি বলে বসেন, বিধাননগরের মেয়র পদে বসার আগ্রহ ছিল তাঁর। এখনও রয়েছে। তবে সবার উপরে দিদি সত্য। তিনি যখন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই মেনে নিয়েছেন তিনি। স্মরণ করিয়ে দেন, ৮০ সাল থেকে দিদি-র সঙ্গে রয়েছেন তিনি। ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেই লড়াই করে এগিয়ে গিয়েছেন৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সুযোগ পেয়ে নিজের দাবির কথা প্রকাশ্যেই জানিয়ে রাখলেন তিনি৷ কৌশলে জানাতে চাইলেন বাম আমলে রাজারহাটের চেয়ারম্যান মেয়র পদের জন্য দলেরই এক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অতি সক্রিয় হলেও তাতে সায় নেই বিধাননগরের পুরনো তৃণমূলী বলে পরিচিত কৃষ্ণার৷

মমতা ঘনিষ্ট কৃষ্ণার এই কৌশলী বার্তায় শাসক শিবিরে জোর গুঞ্জন৷ চেয়ার একটা৷ দাবীদার বহু৷ যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই এখন চলছে দড়ি টানাটানি৷ ফলে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচীকে সরাতে গিয়ে আর একটা বড় ভাঙনের মুখে পড়তে চলেছে তৃণমূল এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

3 × 5 =