দলের কোনো বিধায়ক পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করলেন কর্ণাটক কংগ্রেস নেতৃত্ব
বাংলার জনরব ডেস্ক : সকালে একটা খবর সব হিসেব নিকেশ পাল্টে গিয়েছিল । কর্ণাটকের কংগ্রেস জোট সরকারের ১১জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন বলে শনিবার সকালে খবর রটে যায় । এমনও বলা হতে থাকে কর্ণাটকের জোট সরকারের পতন হতে চলেছে । কিন্ত শনিবার ছুটির দিনে কীভাবে পদত্যাগ করতে পারেন ! সেই বোধগম্য সাংবাদিকদের ছিল না । সুতরাং শেষ পর্যন্ত জানা গেল কেউ পদত্যাগ আজ করেননি । কারণ আজ ছুটির দিন । এদিকে কংগ্রেসও বসে নেই তারা দ্রুত সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে ।
প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ও কর্ণাটকের মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার অবশ্য জানাচ্ছেন কেউ পদত্যাগ করছেন না৷ প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে আলাদা করে কথা হয়েছে৷ তাঁরা কেউই নিজেদের দল ছেড়ে পদ ছেড়ে দিচ্ছেন না আশ্বস্ত করেছেন বলে তাঁর দাবি৷
ইতিমধ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ও মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক তলব করেছেন৷ সেখানে জোট সরকারের সব বিধায়ক ও নেতাদের থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে নেই, সেই সঙ্গে অনুপস্থিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুণ্ডু রাও৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরির জন্য বিজেপিকেই দায়ি করা হয়েছে৷
অবশ্য জি নিউজের খবর অনুসারে কর্ণাটক বিধানসভার স্পীকার রমেশ কুমার জানাচ্ছেন এই পদত্যাগ পত্র নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার৷ বিধায়কদের কথাও সেদিন শোনা হবে৷ জি নিউজের একটি খবর অনুযায়ী, পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া বিধায়করা হলেন, প্রতাপগৌড়া পাতিল, শিবরাম হেব্বর, রমেশ জারকিহোলি, মহেশ কুমাতি হল্লি, নারায়ণ গৌড়া, রামালিঙ্গা রেড্ডি, সৌম্য রেড্ডি, বাইরাথি সুরেশ এবং মুনিরাথনা এবং জেডি-এস-এর গোপালাইয়াহ্ এবং এইচ বিশ্বনাথ৷
উল্লেখ্য , গত বছর মে মাসে কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার হেরে যায় । সেখানে জেডিএসের জোট করে কংগ্রেস সরকার গঠন করে । জেডিএস কম আসন পাওয়া সত্ত্বে বিজেপিকে ক্ষমতায় বাইরে রাখতে জেডিএস নেতা কুমার স্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেয় কংগ্রেস । অন্যদিকে ক্ষমতায় কাছাকাছি পৌঁছেও ক্ষমতা দখল করতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি । তাই বিজেপি যে কোনো সময় কর্ণাটকে ঘোড়া কেনা বেচা করে ক্ষমতায় আসতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে ।