আমরা মানুষকে বলছি তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে কাটমানির টাকা বুঝে নিন, এর সঙ্গে সুদটাও বুঝে নেবেন : দিলীপ ঘোষ
বাংলার জনরব ডেস্ক : কাটমানি ইস্যুতে এবার বিজেপির টার্গেট হল কালিঘাট । মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা ।শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানার উল্টো দিকের মাঠে সভা করে বিজেপি । এই সভায় মুকুল রায় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু , ভারতি ঘোষ সহ দলের প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কাটমানি ইস্যুতে প্রয়োজন হলে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের সম্পত্তিও বিক্রি করে দিতে কসুর করবে না তারা।
দিলীপ ঘোষ বলেন, এই চোরেদের কাটমানির রাজত্ব বেশি দিন চলতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁর দলের লোকেদের বলেছেন কাটমানির টাকা ফেরত দিয়ে দিতে। আর আমরা মানুষকে বলছি তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে কাট মানির টাকা বুঝে নিন, এর সঙ্গে সুদটাও বুঝে নেবেন। মেদিনীপুরের সভা থেকে গর্জে উঠলেন দিলীপ ঘোষ।
এদিনের সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, মুকুল রায়, ভারতী ঘোষ, তুষার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রত্যেকেই কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন। এদিনই বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে বাসিন্দারা কাটমানি ফেরত চান।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সব কাট মানির টাকা ফেরত দিতে হবে বলে দাবি করে সায়ন্তন বসু বলেন, যদি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা টাকা ফেরত না দেয় তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেই সব নেতাদের সম্পত্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকারকে ও তৃণমূল কংগ্রেসকে তাঁরা মানেন না। এই রাজ্যে তাঁদের সভা করতে অনুমতি না দিলেও তাঁরা সভা করবেন। লাঠি-গুলি চললেও সভা হবে, পারলে আটকে দেখান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। ভারতী ঘোষ বলেন, এখন কাটমানি ফেরত দেওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আগে কেন বলেননি, প্রশ্ন তোলেন ভারতী ঘোষ।