হাওড়া পুরসভায় অবিলম্বে ভোট করানোর দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভকে ঘিরে ধুন্ধুমার , চলল জল কামান , পুলিশের লাঠিচার্জ
বাংলার জনরব ডেস্ক : হাওড়া পুরসভায় অবিলম্বে নির্বাচন করতে হবে । এই দাবিতে বিজেপি যুব মোর্চার অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। পুরসভা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে। বিজেপি কর্মীরা পুলিশ গার্ডরেল, ব্যারিকেড ভেঙে পুরসভার দিকে অগ্রসর হবার চেষ্টা করে। তখনই খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ব্যবহার করে এবং লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। এই ঘটনায় বিজেপির বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, হাওড়া পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে কয়েকমাস আগেই।
কিন্তু রাজ্য সরকার নির্বাচন করতে চাইছে না। প্রথমে প্রশাসক বসিয়ে এবং তারপরে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তৈরি করে পুরসভার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। বিজেপির আরও অভিযোগ, প্রশাসক দিয়ে বোর্ড পরিচালনার ফলে অনেক ক্ষেত্রে বিঘ্নিত হচ্ছে পরিষেবা। ভোট না হওয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নেই। ফলে ওয়ার্ডের চাহিদা, সমস্যা কিছুই তুলে ধরা যাচ্ছে না। বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরও তা সমাধান করতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড বিশিষ্ট হাওড়া কর্পোরেশন ৬২টি ছিল তৃণমূলের দখলে। দুইটি করে ওয়ার্ড ছিল বিজেপি ও সিপিএমের দখলে। কয়েক মাস আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হাওড়া কর্পোরেশন। কিন্তু তারপর নির্বাচনের রাস্তায় না হেঁটে পুরসভার কাজ পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। তারপর প্রশাসক সরিয়ে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করে পুরসভা চালানো হচ্ছে। তার মাথায় বসানো হয়েছে পুর-কমিশনারকে। সদস্য করা হয় রাজ্যের তিনজন মন্ত্রী, অরূপ রায়, রাজীব বিশ্বাস ও লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে।