কলকাতা 

এআইসিসির প্রতিনিধিদের সামনে লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবির ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : সোমেন মিত্রকে যিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার জন্য দিল্লিতে বারবার দরবার করেছিলেন তাঁকে গতকালই সোমেন মিত্রের উপস্থিতিতে হেনস্থার শিকার হতে হল । গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস কার্যনিবার্হী সদস্যদের সভা ছিল । এই সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ । এনিয়ে বলতে গিয়ে প্রাক্তন সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক আইনজীবী সরদার আমজাদ আলী দলের বর্তমান নেতাদের সমালোচনা করেন । তিনি বলেন , সিপিএম যখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারাবার কথা বলছেন , ঠিক তখন আমাদের রাজ্য কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন নেতা সিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন । এতে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে ।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে , এই ধরনের সমালোচনামূলক বক্তব্য শুরু হতেই সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য , কৃষ্ণা দেবনাথ , অমিতাভ চক্রবর্তীসহ বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতা তেড়ে আসেন । সেই সঙ্গে সরদার আমজাদ আলীকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোড়া হয়ে । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও এআইসিসি প্রতিনিধিদের সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তাঁদের পক্ষে থেকে কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি । এদিন সরদার আমজাদ আলীর উপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের দুই সংখ্যালঘু নেতা ও সাধারন সম্পাদক ড. আবদুস সাত্তার ও সৈয়দ শাহিদ ইমাম । আর এদের সঙ্গে প্রতিবাদ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দীপ্তিমান ঘোষ ।

Advertisement

প্রশ্ন উঠেছে , প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ভূমিকা নিয়ে তিনি কীভাবে একজন প্রবীণ নেতার হেনস্থাকে মদত দিলেন । সোমেন মিত্রকে মনে রাখতে হবে  পশ্চিমবাংলার কংগ্রেসের এই হালের জন্য তিনিই দায়ী । তাঁর উচিত ছিল নৈতিক দায় স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করা । বামেদের সঙ্গে জোট না হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী ছিলেন সোমেন মিত্র । তিনি তো বড় মুখ করে বলেছিলেন আমরা জিতব , দীপা জিতবে , ঈশা খান জিতবে । আর যে দুজন জিতেছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন , অধীর চৌধুরি । যিনি কারও সাহায্য না নিয়েই জিততে পারেন । অন্যজন কিছু কাজ না করে গণি খানের নামে জিতে থাকেন । এতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কোনো ভূমিকা নেই । বরং সোমেন মিত্র লোকসভায় টিকিট দেওয়ার নাম করে যা করেছেন তা সর্বকালীন দূনীর্তি রেকর্ড হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে । কংগ্রেস নেতা সায়ক চৌধুরি যথাযথ বলছেন বিধানভবনের মাফিয়া । আর সেই মাফিয়াদের হাতেই সরদার আমজাদ আলী আক্রান্ত হলেন ।

সোমেন মিত্র যেভাবে কংগ্রেস দল ও সংগঠনকে বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন তাতে আগামী দুদশকেও কংগ্রেসের হাল ফিরবে কিনা বলা মুসকিল । রাহুল গান্ধী ভিক্ষা করে কংগ্রেস চালাবেন সোমেন মিত্রের মত কতকগুলি মানুষ সেই টাকায় নিজেদের সম্পত্তি বাড়াবেন এটা চলতে দেওয়া যায় না । এখনই কংগ্রেস কর্মীদের প্রতিবাদে গর্জে ওঠা উচিত ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

14 + two =