সোনিয়ার কুশলী চাল সত্ত্বে কর্ণাটকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ কী পাবে কুমারস্বামী?
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি -কংগ্রেস দলের সেমিফাইনাল ছিল কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবে এই নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেছিল। কিন্ত রাহুল গান্ধী শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে,একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি উঠে এলেও ম্যাজিক ফিগার পায়নি। ফলে,কর্ণাটক বিধানসভা এখন ত্রিশঙ্কু।এটা হবে অনেক আগে থেকে আঁচ করতে পেরে সোনিয়া গান্ধী জেডিএস নেতা এইচ,ডি,দেবেগৌড়া সঙ্গে যোগাযোগ করতে নি্র্দেশ দেন। সেই মত কংগ্রেস নেতারা জেডিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর ফল বোরোনোর কিছুক্ষণ পরেই সোনিয়ার নি্র্দেশে মাত্র ৩৮টি আসন পাওয়া জেডিএস নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ,মল্লির্কাজুন খাড়গে,বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া প্রমুখ। কংগ্রেস দল এককভাবে ৭৮ আসন পেয়েছে,জেডিএস পেয়েছে ৩৮টি,দুজন নির্দলকে মিলিয়ে কংগ্রেস জোটের মোট আসন সংখ্যা ১১৮। ম্যাজিক ফিগার থেকে ৬টি আসন বেশি।
কংগ্রেস নেতা শুধু সমর্থন দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেননি। তাঁরা কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে জেডিএস কংগ্রেস জোটের নেতা এইচডি কুমারস্বামীকে সরকার গড়ার জন্য ডাকার অনুরোধ করেন।এর ঠিক আধ ঘন্টা আগে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা রাজ্যপালের দেখা করে একক বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে সরকার গড়ার দাবি জানান। তিনি রাজ্যপালকে আশ্বস্ত করেছেন তার দলের বিধায়ক সংখ্যা ১০৪ হলেও তিনি সরকার গঠন করা সাত দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবেন। জানা গেছে, রাজ্যপাল বাজুভাই বালা একক বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পাকেই সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন। এই ঘটনায় আবার বিজেপির দ্বিচারিতা আবার প্রমাণিত হল,মেঘালয় মণিপুর ও গোয়াতে কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যপাল নির্বাচন উত্তর জোটকেই প্রধান্য দিয়ে বিজেপিকে সরকার গঠনে সাহায্য করেছিল।কিন্ত কর্ণাটকে ঠিক উলটপূরাণ।