কলকাতা 

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পতন হবে তৃণমূল সরকারের : কৈলাস বিজয়বর্গীয়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : লোকসভা ভোটের পর থেকে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে । ভোট প্রচার চলাকালীন সময়েই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন ,তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন । অন্যদিকে , ভোটের ফল বের হওয়ার পর বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করেছিলেন খুব শীঘ্র মমতা সরকারের পতন হবে । কয়েক দিন আগে আবার তিনি দাবি করলেন , ইতিমধ্যে ৫০ জন বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন । পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এক ইংরেজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন , ‘‘ভোটের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে। কারণ, বিরাট সংখ্যার বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছাড়তে প্রস্তুত। তৃণমূল বিধায়কদের দল ছাড়ার বিরাট হিড়িক পড়ে যাবে। বর্ষীয়ান নেতারা ক্ষুব্ধ, কারণ তাঁদের আশঙ্কা মমতার উত্তরাধিকার হবেন তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এমন কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে জানি, যাঁদের রিপোর্ট করতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বিষয়ে তাঁরা মোটেও খুশি নন।’’

প্রথমে মেদিনীপুর এবং পরে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া। জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে কার্যত ক্ষিপ্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর পরেই মমতার বাড়িতে জয় শ্রীরাম লেখা পোস্টকার্ড পাঠানোর নতুন কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই বিজয়বর্গীয়ের কটাক্ষ, ‘‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে মমতা এমন করছেন, যেন তাঁর কানে কেউ গরম তেল ঢেলে দিয়েছে। এটা হাস্যকর। ওঁকে অপদস্থ করার জন্যই জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হচ্ছে বলে উনি ভাবছেন। একটা ধর্মীয় মন্ত্র কী ভাবে কারও অপছন্দ হতে পারে?’’ মমতার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগও তুলেছেন বিজয়বর্গীয়। তিনি  বলেন, ‘‘ভোটের আগে মমতা বলেছিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব। এখন সেটাই শুরু করেছেন তিনি।’’

Advertisement

ভোটের প্রচারে এসে মোদী-অমিত শাহরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভোটের পরেও সেই অবস্থান পাল্টায়নি। বরং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে বলে অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা বলছেন মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সেই আইনশৃঙ্খলাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের সবচেয়ে বড় সমস্যা আইনশৃঙ্খলা। তা ছাড়া উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছে। সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যার ভারসাম্য হারানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’’

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

15 + 17 =