লক্ষ্য রাজীব কুমার ও সারদার লাল ডায়েরি : সিবিআইয়ের জেরার মুখে সিটের আর এক তদন্তকারী অফিসার
বাংলার জনরব ডেস্ক : বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে তৎপরতা চোখে পড়ার মত । সারদা কেলেংকারি তদন্ত জোর কদমে চলছে । হন্যে হয়ে সিবিআই খুঁজে বেড়াচ্ছে সারদার লাল ডায়েরি । ডায়েরির লক্ষ্যে অর্ণব ঘোষ থেকে শুরু করে প্রভাকর , দিলীপ হাজরার মত গোয়েন্দা অফিসারদের জেরা করেছেন । সিবিআই জানার চেষ্টা করছে কার নির্দেশে তারা কাজ করতেন । তা সত্ত্বে এখনও লাল ডায়েরির খোঁজ পাওয়া যায়নি । এতেই সিবিআইয়ের তৎপরতা আরও বেড়েছে । এবার তলব করা হল আরেক গোয়েন্দা আধিকারিক দিলীপ হাজরাকে ।
সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে নথিপত্র বাজেয়াপ্তের সময় হাজির ছিলেন দিলীপ হাজরা। ‘সিজার লিস্ট’ করার সময়েও তিনি ছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই সময় সারদার লাল ডায়েরি এবং পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছিল কি না? তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন কি না? তা জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সে কারণেই সোমবার তাঁকে তলব করা হয়।
এর আগেও দিলীপ হাজরাকে জেরা করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। শিলংয়ের পর কলকাতায় রাজীব কুমারকে জেরার আগে ফের এক বার রাজ্য পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। সে কারণেই সারদার প্রথম তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথ, আরআই মোল্লা (যিনি গত সপ্তাহে ৮ ট্রাঙ্ক বোঝাই সারদার নথি সিবিআইকে দিয়েছেন। তবে কার নির্দেশে নথি জমা দিয়েছেন, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।), অর্ণব ঘোষ এবং দিলীপ হাজরাকেও জেরা করা হচ্ছে।সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সামনে আসার সময় তাঁরা প্রত্যেকেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন। বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের অধীনে সারদা তদন্তেও কাজ করেছেন। ফলে নিচুতলার পুলিশকর্মীরা সেই সময় রাজীব কুমারের কাছ থেকে কী নির্দেশ পেতেন, তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা জানা এই তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সিবিআই।