জেলা 

খেজুরিতে তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে নন্দীগ্রামের ছায়া দেখা দিল । ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলের পর সমগ্র বাংলা জুড়ে যে তৃণমূলের জনজাগরণ দেখা দিয়েছিল তা দশ বছর সেই জাগরণ দেখা দিয়েছে বিজেপির মধ্যে । দশ বছর আগে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যে কার্যত তৃণমূল কথায় প্রশাসন চলত , একইভাবে এখন বিজেপিই প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছে । রবিবারের ঘটনা আর একবার প্রমাণ করল । এদিন সকালেই খেজুরি বিধায়ক নিজের কেন্দ্রে গিয়েছিলেন । সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন । বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখ থেকে তৃণমূল বিধায়ককে বাঁচাতে শেষ র‌্যাফ বা কমব্যাট ফোর্স নামাতে হয় ।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে ,গত শুক্রবার খেজুরির কুঞ্জপুর এলাকায় বিজেপির লাড্ডু বিতরণ মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার এ রকমই কয়েকটি ঘটনার জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খেজুরি থানা থেকে পুলিশ গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শনিবারের সেই অশান্তির রেশ রয়ে যায় রবিবারও

Advertisement

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা এমনিতেই ছিল রবিবার খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ওই এলাকা দিয়ে  যাওয়ার সময় রাস্তায় বিধায়কের পথ আটকায় বিজেপির কয়েকশো কর্মী সমর্থক। তাঁরা বিধায়কের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের ফল বেরোনর পর থেকেই এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁদের জোর করা হচ্ছে তৃণমূল করতে।”

বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খেজুরি থানার পুলিশ। কিন্তু প্রথমে তাঁরা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ হন। এর পর ঘটনাস্থলে আসে র‌্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স। বিশাল বাহিনীর সাহায্যে কণ্ঠিবাড়ি এলাকা থেকে বিধায়ককে ঘেরাওমুক্ত করা হয়। এর পর বিধায়ক পাশের হলুদবাড়ি এলাকায়। সেখানেও ঠিক একই ভাবে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আটকে পড়েন বিধায়ক। ঘেরাওয়ের মুখে বাধ্য হয়েই তিনি ওই এলাকায় না ঢুকে ফিরে যান। অন্যদিকে ততক্ষণে বীরবন্দর এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রায় এক ঘণ্টা পরে সেই অবরোধ ওঠে।

রঞ্জিতবাবু ওই ঘটনার পর এ দিন বিকালে বলেন, “ওই এলাকায় সিপিএমের সমর্থকরাই বিজেপির পতাকা সামনে রেখে অশান্তি ছড়াচ্ছে।” যদিও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

2 × three =