জেলা প্রচ্ছদ 

কাকদ্বীপে সস্ত্রীক বাম কর্মীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

 

জামিতুল ইসলাম , দক্ষিণ ২৪পরগনা:

পঞ্চায়েত ভোট শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এক দম্পত্তিকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের নামখানা ব্লকের বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছাড়ি বাড়ি গ্রামের ২১৩ নং বুথে। সিপিএম কর্মী দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাসকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সূত্রের খবর, রাত ১২ টা নাগাদ দেবু দাসের ঘরের ভিতরে জানলার ফাঁক দিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘরে তখন ঘুমোচ্ছিলেন দেবু দাস এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা দাস। পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনে ঝলসে যায় দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাস। রাত দেড়টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ঘর থেকে দেবু দাস ও ঊষা দাসের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। রাত ২ টো নাগাদ সুন্দরবন পুলিস জেলার পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক শমীক লাহিড়ি। অভিযোগপত্রে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েক জনের নামও উল্লেখ করেন। শমীক লাহিড়ির করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন যে, রবিবার সকাল থেকেই দেবু দাসকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় তিনি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী অমিত মণ্ডল এবং তাঁর সঙ্গীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, অমিত মণ্ডল এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী- শিবপ্রসাদ মণ্ডল, চন্দন গিরি, এসকে মণিরুল, গোকুল জানারা সমানে দেবুকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরসঙ্গে স্থানীয় কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী রয়েছে বলে অভিযোগ শমীক লাহিড়ির। তারাও দেবুকে হুমকি দিচ্ছিল বলে তিনি পুলিস সুপারের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবি জানানো হয়। দেবু দাস বুধাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৩ নম্বর বুথের কর্মী ছিলেন । স্থানীয় সিপিএম কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে সিপিএম নেতা দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাসের। ঘটনার পর দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

1 × one =