জেলা 

অধীরের জনপ্রিয়তার কাছে হেরে গেল তৃণমূলের শক্তিশালী ব্রিগেড

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলার কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে অধীর চৌধুরি নেতৃত্ব দেওয়ার গুণটাই আলাদা । তিনি অনন্য প্রতিভার অধিকারী । মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিবহণ মন্ত্রী পর্যন্ত অধীরকে হারানো শপথ নিয়েছিলেন । এমনকি পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বার বলেছেন বহরমপুর থেকে অধীর চৌধুরি জিতলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন । কিন্ত অধীর জিতলেন । জিতলেন শুধু নয় , ভাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন । এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে অধীর জেতার পর কী শর্ত মেনে শুভেন্দু রাজনীতি ছেড়ে দেবেন ।

মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক হওয়ার পরই অধীর গড় তছনছ করার পণ করেছিলেন তৃণমূলের নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী৷ এক এক করে পুরসভা দখল এবং কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টেনেছিলেন তিনি৷ সর্বশেষ তাঁর লক্ষ্য ছিল লোকসভায় মুর্শিদাবাদের তিনটি আসন দখল করে অধীর চৌধুরীর কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা৷ শুভেন্দু এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন দলনেত্রীর কাছে৷

Advertisement

শুভেন্দুর অধীর গড় জয়ের লক্ষ্য অবশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হয়নি৷ মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর, দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই এবার তৃণমূল জিতেছে৷ কিন্তু তৃণমূলের আসল টার্গেট অধীরই তাদের হাত ফস্কে গিয়েছেন৷বলা চলে গোটা রাজ্যে যখন কংগ্রেসের ভরাডুবি হচ্ছে তখন একা কুম্ভ হয়ে বহরমপুর ধরে রেখেছেন তিনি৷ ভোটের ব্যবধান কমলেও শেষ পর্যন্ত জিতেছেন এবং মমতা-শুভেন্দুর আত্মবিশ্বাসে জোর ধাক্কা দিয়েছেন৷ কিন্ত এটা অধীর বলেই সম্ভব হয়েছে । মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে অধীর চৌধুরি এখন বেতাজ বাদশা । তাই তাঁকে হারানো কঠিন । কারণ তিনি প্রতিদিনই নিয়ম করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন ।

তাই তিনি মানুষের আর্শীবাদ যে পাবেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না । গণি খান চৌধুরি কায়দায় তিনি নিজেই নিজের প্রচার করেন । এবারের নির্বাচনে রাহুল গান্ধী কিংবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে তার জন্য প্রচারে আসতে হয় না । তিনি একাই নিজের প্রচার করেছেন যেখানে গেছেন সেখানেই মানুষের ঢল নেমেছে । এমনকি কয়েকশো বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি কংগ্রেস তা সত্ত্বে অধীরের জয় ঠেকানো গেল না । বিজেপি কাছে যদি তৃণমূলের হার হয়ে থাকে এই ভোটে তাহলে মমতা ও শুভেন্দুর হার হয়েছে অবশ্যই অধীরের কাছে । কারণ বহু চেষ্টা করেও জনগণের কাছ থেকে অধীরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

13 − eleven =