পশ্চিমবঙ্গ সহ তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করা এখন মোদী-শাহ-র প্রধান লক্ষ্য
বাংলার জনরব ডেস্ক বিপুল জয়ের পর এবার মোদী-শাহ-র টার্গেট দেশের তিন রাজ্য । এর মধ্যে হল কর্ণাটক । এই রাজ্যটিতে গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি দখল করার চেষ্টা করে চলেছে । কিন্ত সুযোগ পাচ্ছিল না । এবার বিপুল ভোটে দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর কর্ণাটক দখল শুধু সময়ের অপেক্ষা । এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশে কয়েক মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস । তবে আসন সংখ্যার তফাৎ খুব একটা নেই । মাত্র ৬টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি । তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের জনাদেশে অনেক এগিয়ে বিজেপি । সুতরাং বলা যেতেই পারে মধ্যপ্রদেশেও ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি । ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে দ্রূত বিধানসভা ডাকার অনুরোধ করেছে বিজেপি । ওই চিঠিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে মধ্যপ্রদেশের সরকার এখন সংখ্যালঘু । অতএব বিধানসভা অনাস্থার মুখোমুখি তাদেরকে হতে হবে ।
অন্যদিকে বিজেপি সূত্রে খবর পশ্চিমবাংলাতেও তারা ক্ষমতা দখল করতে চলেছে । এখানকার ৪৭ জন বিধায়ক নাকি ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে বিজেপি দাবি করেছে । বিজেপি নেতাদের দাবি, রাজ্যসভায় মোদী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। কিন্তু এই তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে পারলে বিধায়কের সংখ্যার বিচারে রাজ্যসভায় ক্ষমতা বাড়াতে পারবে সরকার। পাশাপাশি আজ জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়ককে আলাদা ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, জগন্মোহন, নবীন ও কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ–র আসন সংখ্যা প্রায় ৪০০–এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজীব গাঁধী জমানায় কংগ্রেসের পরে এই সংখ্যা কোনও দল বা জোট পায়নি।
রাম মন্দির, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার মতো বিষয়গুলি নিয়ে এ বার মোদী কী পদক্ষেপ করবেন তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে নানা শিবিরের। বিজেপি সূত্রের মতে, রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মধ্যস্থতা চলছে। তাতে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামিকাল মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক হবে। সেখানেই বর্তমান লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন মোদী। আগামী শনিবার সংসদের অ্যানেক্স ভবনে দলের বৈঠক হবে। তাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোদীকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হবে। আগামী রবিবার সকালে ফের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য জানাবেন মোদী। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার শপথ নিতে পারেন মোদী ও তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা।