কলকাতা 

যাদবপুরের গবেষকের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার স্নাতকোত্তরের ছাত্রী ; অভিযুক্ত গ্রেফতার ; দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আফসুর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মাঝে মাঝে আন্দোলনমুখী হয়ে ওঠে । এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে । তা নিয়ে আবার শোরগোল হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে মনে করা হচ্ছে । জানা গেছে যাদবপুরের দর্শন বিভাগের এক গবেষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন ওই বিভাগেরই স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত গবেষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ছাত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুষ্পেন্দুবিকাশ সাহু নামে ওই গবেষকের কাছে তিনি পড়তে যেতেন ।

গত রবিবার পুষ্পেন্দুর বাড়িতে পড়তে গেলে অভিযুক্ত তাঁকে যৌন সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে জোর হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয় এবং তাঁর শ্লীলতাহানীও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তিনি কোনওরকমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এবং যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। এফআইআর-এর ভিত্তিতে পুলিশ পুষ্পেন্দুর যাদবপুরের ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে আটক করেছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছেন। যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হতে পারে।” বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যাদবপুরের আর্টস ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদ (আফসু)। আফসু-র অভিযোগ, পুষ্পেন্দুর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেন নি।

যাদবপুর সূত্রের খবর, এই ঘটনার আগে পুষ্পেন্দুর বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি অভিযোগ উঠেছে। বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক ছাত্রী বলেন, “আমার সঙ্গে পুষ্পেন্দু ক্যাম্পাসের ভিতরেই আপত্তিকর আচরণ করেছিল। আইসিসি-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনও ফল হয়নি।” তুলনামূলক সাহিত্যের এক ছাত্রীর কথায়, “ও যে সিরিয়াল মলেস্টার তা ক্যাম্পাসে সকলেই জানেন। তারপরও ও অবাধে ঘুরে বেড়ায়, হস্টেলে রাত কাটায়। আশা করি, প্রশাসন এবার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

4 × 4 =