দেশ 

রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিষয়ে জানতে চেয়ে মোদী সরকার শুধু নেহেরু –গান্ধী পরিবারকেই অপমান করেনি ; সমগ্র দেশবাসীকে অপমান করেছে; মোদী পায়ের তলার মাটি সরছে এটা স্পষ্ট !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাহুল গান্ধী কে ? রাজীব গান্ধীর পুত্র । রাজীব গান্ধী কে ? দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন । যিনি দেশকে কমপিউটারের যুগে পৌছে দিয়ে গেছেন । যিনি দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। আবার রাজীব কে ? ইন্দিরা ও ফিরোজ গান্ধীর বড় ছেলে । ইন্দিরা ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ; দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য শহীদ হয়েছেন । ফিরোজ গান্ধী দেশের সফল সাংসদ ছিলেন । দেশের ঐক্য , সম্প্রীতি ও অখন্ডতা রক্ষায় তাঁর ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না। আর যারা রাহুলকে ব্যঙ্গ করছেন তাঁরা আসলে দেশের শহীদ পরিবারকে অপমান করছে । যাঁরা তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা আসলে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করছেন । সত্যিই কী রাহুল গান্ধী অন্য কোনো দেশের নাগরিক ! আসল বিষয়টি পড়ুন ।

 

রাহুল গান্ধী নাকি বিদেশী ? এ প্রশ্ন তুলেছিলেন আজ থেকে দেড় বছর আগে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণিয়ম স্বামী । ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এতদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।

Advertisement

আর দেড় বছর পর দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ঘুম ভেঙেছে , ঠিক লোকসভা ভোট চলাকালীন সময়ে । তারা রাহুলের কাছে জানতে চেয়েছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ তার বক্তব্য জানাতে । আসলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক হয়তো ভুলেই গেছে এর আগে রাহুল গান্ধী সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে জানিয়েছিলেন, যে তিনি কখনওই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাননি বা সে ব্যাপারে চেষ্টাও করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর পরিচয় তিনি একজন ভারতীয়।

এ বিষয়ে রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী  স্পষ্ট বলেছেন, “আমি এধরনের উদ্ভট কথা কখনও শুনিনি। সবাই জানে রাহুল গান্ধী এখানে জন্মেছে, এখানে বড় হয়েছে। সারা হিন্দুস্থান জানে রাহুল গান্ধী একজন হিন্দুস্থানী… ও ওদের আগে এখানে জন্মেছে… ওদের আগে এখানে বড় হয়েছে… এটা কী ধরনের উদ্ভট ব্যাপার?”

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

এর আগে প্রাক্তন সিবিআই আধিকারিক তথা আইনজীবী এমএল শর্মা এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের দাবি করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালে তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি অমিতাভ রায়কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলার সঙ্গে যেসব নথি দেওয়া হয়েছিল তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং সেগুলি কীভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে সে নিয়েও আপত্তি তোলে।

অতি সম্প্রতি, গত ২০ এপ্রিল আমেথির এক নির্দল প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানান। ২২ এপ্রিল তাঁর অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটিসের বিষয়টি লঘু করে দেখাতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “কোনও সাংসদ যদি কোনও মন্ত্রকে অভিযোগ জানান, তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হয়। এটা বড় কিছু নয়, সাধারণ ব্যাপার।”

ঠিক এ সময়কেই কেন বেছে নেওয়া হল সে প্রশ্নের জবাবে রাজনাথ সিং বলেন, “সংসদেও এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে। সুব্রহ্মণিয়ন স্বামী মন্ত্রকেও বেশ কয়েকবার এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন, তার জেরেই এই পদক্ষেপ।”

এ থেকে এটা স্পষ্ট যে মোদী-শাহরা হারের আতংকে ভুগছে । তা না হলে এভাবে একজন শহীদ পরিবারের সদস্য এবং দেশকে উপহার দিয়েছে যে পরিবার তিন জন প্রধানমন্ত্রী , সাতজন সাংসদ , সেই পরিবারের একজন সদস্যের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অধিকার কী আছে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ! না মোদী –শাহদের ! আগামী ২৩ মে ইন্দিরা –রাজীব পরিবারের সন্তানের প্রতি এই মিথ্যাচারের জবাব দেশের মানুষ যে দেবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

5 × 3 =