ইমরান খানই মোদীর সবচেয়ে ভালো বন্ধু ; তাই মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্থানকে ভোট দেওয়া । কেন মোদীর বিরুদ্ধে একথা বলছে বিরোধীরা জানতে চান ? ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : মঙ্গলবার সকালে বিদেশী সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছিলেন ,নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের শান্তি আলোচনার রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে। তাই তিনি নরেন্দ্র মোদীর জয় চেয়েছেন।
তবে তিনি নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে ভারতের অবস্থা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভারতে বিদ্বেষমূলক রাজনীতি চলছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ইমরান খান ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গেও তুলনা করেছেন মোদীর।
আর এই মন্তব্যকে ঘিরে হইহই করে আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস ও বিরোধীরা । কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এ নিয়ে ট্য়ুইট করেন। লেখেন, “পাকিস্তান এখন মোদীর স্বীকৃতি সহযোগী হয়ে গিয়েছে। তাই মোদীকে ভোট দেওয়া মানে পাকিস্তানকে ভোট দেওয়া।’’
এখানেই থামেননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ওই নেতা। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “এর আগে মোদীজি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ইমরান খান তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন।’’
কংগ্রেসের মতো একই প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। তিনি বলেন, “পাকিস্তান ইস্যু নিয়ে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সরব প্রধানমন্ত্রী। তিনি তো পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্কও তৈরি করে ফেলেছেন। এখন আমরা বুঝতে পারছি পাকিস্তান কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছে।’’
একই সঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, “তিনি ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি আইএসআইকে সামরিক ঘাঁটিতে আমন্ত্রণ করেছিলেন। তিনি ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি বিনা নিমন্ত্রণেই পাকিস্তানে হাজির হয়েছিলেন।’’
ইয়েচুরির বক্তব্য, বিদেশের সরকার ভারতের নির্বাচনে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। কারণ, এর আগে আইএসআই ও এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোদীর জয় দেখতে চাইছে।
বিরোধীরা জিতলে পাকিস্তানে উত্সব শুরু হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর সেই বক্তব্যকে তুলে ধরেই খোঁচা দিয়েছেন আম আদমি পার্টির কনভেনার অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এবার বোঝা যাচ্ছে ভারতে কে জিতলে পাকিস্তানে উৎসব শুরু হবে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক কী, তা দেশবাসীর কাছে মোদীর জানানো উচিত বলে তিনি দাবি তুলেছেন।
