পঞ্চায়েত সংবাদ 

দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচারে শাসক-বিরোধী সব পক্ষের প্রধান হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ এবার পঞ্চায়েত ভোট প্রচারে শাসক থেকে বিরোধী দলগুলির মূল হাতিয়ার ফেসবুক লাইভ। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার মানেই সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে ধরা হচ্ছে ফেসবুক লাইভে। মুহূর্তেই প্রার্থীর সমর্থনে নেতা কর্মীদের রাখা বক্তব্য পৌঁছে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে।
নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে বাড়ছে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার। আসছেন রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা মন্ত্রীরা।  সেই  সঙ্গে  এলাকার  দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে প্রার্থীরা নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে দিন রাত এক করে প্রচার চালাচ্ছেন এলাকায় এলাকায়। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রচারে রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সংবাদ মাধ্যমের আগেই নেতা মন্ত্রীদের রাখা ভাষণ ও বক্তব্য, মিছিল ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেও প্রচার চালানো হচ্ছে। বাদ যায়নি শাসক থেকে বিরোধী কেউই। নিজের দলের প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতে নির্দিষ্ট ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের কর্মীদেরই। প্রত্যন্ত এলাকার প্রচার তুলে ধরা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসম্মুখে। ফেসবুক লাইভকে ভোটের অন্যতম প্রচার মাধ্যম করেছে সব রাজনৈতিক দলই।
এবিষয়ে বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত জানান, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন। অর্থাৎ প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার করা। সব সময় সেই সব প্রচার জন সম্মুখে আসে না। তাই ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সেই সব প্রচার তুলে ধরা হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন দুর্নীতি সহ অভাব অনটনের অভিযোগও। যা সবাই জানতে পারছেন। তাই এবারের প্রচার ফেসবুক লাইভকে অন্যতম মাধ্যম করা হয়েছে।
সিপিএম কর্মী বিশ্বজিৎ প্রামাণিক জানান বর্তমানে  গ্রামের দিকেও বেশিরভাগ যুবক যুবতীর কাছে রয়েছে স্মার্ট ফোন। তারা ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। সেই সব মানুষের কাছে সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাই ভাঁওতা বাজি দিয়ে তাদের বোঝানো মুশকিল।
অন্য দিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেবপ্রিয় সমাদ্দার জানান, দীর্ঘ ৩৪ বছর বামেরা ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কোনও উন্নয়ন করেনি। কিন্তু ৩৪ বছরের জগদ্দদল পাথরকে

সরিয়ে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামগঞ্জে প্রভূত  উন্নয়ন হচ্ছে। স্কুল, কলেজ থেকে রাস্তাঘাট সব কিছুই হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই সব উন্নয়ন তুলে ধরতে তারা ফেসবুক লাইভ করছেন। দলীয় প্রার্থীদের মিছিল মিটিং ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তুলে ধরছেন। আর এই ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেই মানুষ জানতে পারছে উন্নয়ন কতটা হয়েছে।

Advertisement

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

eighteen − five =