”আমাদের জাতীয়তাবাদ কখনও বিরোধীদের ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দেওয়া নয় “ নাম না করে মোদী-শাহকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার শেখালেন আদবানী
বাংলার জনরব ডেস্ক : মুখ খুললেন বিজেপি দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠা লালকৃষ্ণ আদবানী । দল তাঁকে প্রার্থী করেনি । তা নিয়ে কোনো কথা বলেননি । ঠিক সেই সময় নিরবতাকে হাতিয়ার করেছিলেন । গান্ধীনগরের মানুষ আর পাবে না তাঁকে । তিনি নিঃশব্দে বিদায় নিলেন । বুঝতেই দিলেন তাঁর অভিমান হয়েছে । কিন্ত এমন এক সময় মুখ খুললেন যাতে দেশজুড়ে তো আলোড়ন পড়ে গেল একই সঙ্গে দেশের চলছে চর্চা। নির্বাচনের ঠিক মুখেই আর বিজেপি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাককালে আদবানীর এই মন্তব্য বুঝিয়ে দিল তাঁকে অপমান করার খেসারত দিতেই হবে । কারও নাম নিলেন না। লেখনীর শব্দ চয়নেই স্পষ্ট লক্ষ্য কে ? বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে ব্লগে দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠা এলকে আদবানী লিখেছেন, ”কখনও বিরোধীদের দেশদ্রোহী তকমা দিইনি আমরা”।
৬ এপ্রিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে ‘দেশ অগ্রাধিকার, তারপর দল, ব্যক্তি পরে’ শীর্ষক ব্লগে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আডবাণীর কলমে উঠে এল অতীত থেকে বর্তমানের স্মৃতিচারণা। ‘রাজনৈতিক গুরুর’ ধারালো কলম –এর লক্ষ্য যে মোদী ও অমিত শাহ তা স্পষ্ট হয়ে গেল । আর এতে কংগ্রেস দল সহ বিরোধীরা যে ভোটের মুখে নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেল । এদিন আডবাণী লিখেছেন, ”বিজেপির জন্ম থেকে রাজনৈতিক ভিন্নমত পোষণকারীদের শত্রূ হিসেবে দেখিনি, বরং বিরোধী ভেবেছি”।
আডবাণী আরও লিখেছেন,”আমাদের জাতীয়তাবাদ কখনও বিরোধীদের ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দেওয়া নয়। ব্যক্তিগত পরিসর ও রাজনৈতিক স্তরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধ দল”।
আডবাণীর আবেদন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে মজবুত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করা উচিত। গণতন্ত্রের উত্সব নির্বাচন। এটা রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের সত্বে আত্মমন্থনের সুযোগ তৈরি করেছে।