কলকাতা 

দিদি আর ওঁর সঙ্গীরা দেশবিরোধী কথা বলছেন, কারণ ওঁদের রাজনীতির জমি টলমল করছে ; মমতার নৌকা ডুবতে চলেছে : নরেন্দ্র মোদী

শেয়ার করুন
  • 11
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: পশ্চিমবাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দুটি নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসকে তীব্র ভলাষায় আক্রমণ করেন । তাঁর আজ দুটি জনসভা ছিল একটি উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি আর একটি কলকাতা ব্রিগেডে । এই দুটি সভা থেকে মোদী বিরোধী মহাজোট আক্রমণ করা থেকে শুরু করে পরিবারতন্ত্র নিয়েও সরব হন না মোদী ।

মোদী এদিন বংলার উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করেননি বলে উল্লেখ্য করেন । বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এদিন শিলিগুড়ির সভা থেকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘বাংলার উন্নয়নের স্পিড ব্রেকার’ বলে এদিন কটাক্ষ করেন নমো। তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতার নৌকা ডুবতে চলেছে।’’ বাংলার উন্নয়নের পাশাপাশি এদিন বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক নিয়েও মমতাকে ফের নিশানা করে মোদী বলেন, ‘‘চোট লেগেছে পাকিস্তানের, যন্ত্রণা হচ্ছে কলকাতায় বসে থাকা দিদির।’’ অন্যদিকে, ব্রিগেডের সভায় এসে মমতাকে মোদীর আক্রমণ, ‘‘মমতার রাজনীতির ভিত নড়ে গিয়েছে।’’

Advertisement
  • নরেন্দ্র মোদী শিলিগুড়ি ও কলকাতার সভায় যা বললেন তা এক নজরে দেখুন :

* সমগ্র দেশে যে গতিতে কাজ করেছি, বাংলায় সেই গতিতে কাজ করতে পারিনি। কেন জানেন, বাংলায় স্পিড ব্রেকার রয়েছে, এই স্পিড ব্রেকারকে এখানকার লোক দিদিকে জানেন। দিদি, আপনাদের উন্নয়নের স্পিড ব্রেকার। গরিবদের জন্য দিদির কোনও চিন্তা নেই।

* চিটফান্ডের মাধ্যমে লুঠ করা হয়েছে। গরিবদের টাকা লুঠ করেছে মমতা সরকার।

* সরাসরি টাকা পৌঁছে যেত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে, বাদ সেধেছেন দিদি, কৃষকদের উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দিয়েছেন। গরিবদের চিকিৎসা প্রকল্পে বাধা দিয়েছেন। রাজ্যের ৭০ লক্ষ কৃষকদের উন্নয়নের কাজে ব্রেক কষে দিয়েছেন দিদি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের মানুষ লাভবান হয়েছেন, কিন্তু আরও লাভবান হতেন, যদি মমতা ব্রেক না কষতেন। তবে সব বাধা সত্ত্বেও চৌকিদার কাজ করছে।

* আপনারা (আমাকে) এত ভালবাসা দেখাচ্ছেন, দিদির রাতের তো ঘুম উড়ে যাবে!

* রাজ্য থেকে যদি দারিদ্র্য দূর হয়ে যায়, তাহলে দিদির রাজনৈতিক জীবনও শেষ হয়ে যাবে। তাই কংগ্রেসের মতো দিদিরও চেষ্টা, দরিদ্রতা যাতে কোনও ভাবেই দূর না হয়।

* চা-শ্রমিক, আদিবাসী, কৃষকদের উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দিদি স্পিড ব্রেকারের মতো সব কিছু আটকে দিচ্ছে।

* জগাই-মাধাইের জোট শেষ হওয়ার পথে।

* অনুপ্রবেশকারীদের ছাড়া হবে না। এনআরসি নিয়ে গুজব রটানো হচ্ছে। গোর্খাদের আশ্বস্ত করছি, কারও কোনও অনিষ্ট হবে না।

* কংগ্রেস সেনাকে বিশ্বাস করে না।

* দেশের চৌকিদার কোনও অন্যায় বরদাস্ত করবে না।

* বিভিন্ন দলের নেতারা বাংলা এসে বলছেন মোদী হঠাও। কলকাতায় এতবড় জলসা হল। বলছে, মোদী হঠাও। কেন ভাই, মোদী কী এমন করল? গরিবদের বাড়ি, শৌচালয় দিয়েছি, এটাই অপরাধ?

* কিছু লোক মোদীর বিরোধিতা করতে করতে ভারতের বিরোধিতা করছে। আপনারাই বলুন, এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ কারা চাইছেন? সেনাকে হতাশ কারা করছেন? জঙ্গিদের লাশ দেখান, এসব কারা বলছেন? দিদি আর ওঁর সঙ্গীরা দেশবিরোধী কথা বলছেন, কারণ ওঁদের রাজনীতির জমি টলমল।

*নয়া ভারতের দিকে এগোচ্ছে দেশ। এখন সর্বত্র ভারতের জয়জাকার। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে, এয়ার স্ট্রাইক হয়েছে। অসম্ভব সম্ভব হয়েছে এখন। ভারতে যা হচ্ছে, একসময় তা স্বপ্ন ছিল

 

 

 

 

 

 

 

 


শেয়ার করুন
  • 11
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

twelve − 7 =