দেশ 

“ ন্যায় “ প্রকল্প সহ কৃষি ও কৃষকের সার্বিক উন্নয়নকেই পাখির চোখ করছে কংগ্রেস ; দেশবাসীকে কংগ্রেস যে ওয়াদা করে তার খেলাপ করে না : রাহুল গান্ধী

শেয়ার করুন
  • 84
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ইন্দিরা গান্ধীর গরিবী হঠাও শ্লোগানকে সামনে রেখেই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চলেছেন তাঁর নাতি রাহুল গান্ধী । প্রায় এক বছর ধরে আলাপ-আলোচনা করার পর তৈরি করা হয়েছে কংগ্রেসের ইসতেহার ।এই ইসতেহার তৈরি করেছেন , সোনিয়া গান্ধী , প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ,একে অ্যান্টনি ও পি চিদম্বরম । আজ প্রকাশিত হল কংগ্রেসের বহুল চর্চিত ইসতেহার । ইসতেহারে পরিস্কার করে বলা হয়েছে , কংগ্রেস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না । রাহুল গান্ধী যা বলেন তা করেন । সেই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মুখে ।

রাহুল বলেন, যা করতে পারা যাবে, সেটাই লেখা হয়েছে এই ইস্তেহারে। কোনো মিথ্যা কথা লেখা হয়নি। গত পাঁচ বছরে দেশবাসী অনেক শুনেছেন। এই ইস্তেহারের প্রথম থিম ন্যায়। সম্পূর্ণ ইস্তেহার রচনায় সহযোগিতা করেছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, পি চিদম্বরম এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং।

Advertisement

ন্যায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন : ইস্তেহারের প্রথম থিম হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে, কংগ্রেসের সদ্য ঘোষিত ন্যায় প্রকল্পকে। গরিব পরিবারগুলিকে সরকারি উদ্যোগে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার এই প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়েই যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেসের ইস্তেহার।

গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান : নারেগাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাম-পঞ্চায়েত এলাকায় ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করা হবে ।

১০০ দিনের কাজে কর্মদিবসের সীমা বৃদ্ধি : বাধ্যতামূলক একশো দিনের কাজকে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ১৫০ দিন করা হবে বলে ইসতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস ।

কৃষি ও কৃষকের ঋণ মকুবসহ অন্যান্য সুযোগ : কংগ্রেস আজকের ইসতেহারে কৃষির বৈজ্ঞানিক উন্নতি ও একই সঙ্গে কৃষককে ফসলের ন্যায্য দাম সহ তাদের ঋণ মকুব করার এক গুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহন করবে কংগ্রেস । ক্ষমতায় এলে কৃষকের সার্বিক উন্নয়নেই লক্ষেই কাজ করবে কংগ্রেস বলে আজকের ইসতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বয়ং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং । কৃষকদের জন্য আলাদা বাজেট করারও কথা বলা হয়েছে ।কৃষিঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে ফৌজদারি মামলা নয়, দেওয়ানি মামলা।

 বেকারত্ব দূরীকরণে বিশেষ পদক্ষেপ : ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শূন্যপদ গুলিতে নিয়োগ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে । এছাড়া বেকার সমস্যার সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবে কংগ্রেস ।

শিল্পায়ন : দেশে শিল্পের মন্দা দূরীকরণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে কংগ্রেস সরকার ।

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়বে : কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ করা হবে জিডিপির ৬ শতাংশ বলে ইসতেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ।

স্বাস্থ্য : সমাজের দুর্বল অংশের জন্য আরও শক্তিশালী সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা।

ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস দাবি করে, কৃষির উপর জোর দেওয়া হয়েছে এ বারের নির্বাচনী ইস্তেহারে। কৃষি নিবিড় অর্থনীতির মাধ্যমেই এ দেশে উন্নয়ন সম্ভব। সব মিলিয়ে কৃষকের আত্মসম্মানের চিহ্ন এই নির্বাচনী ইস্তেহার।

রেল বাজেটের মতোই পৃথক কৃষি বাজেট পেশের দাবি সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ইস্তেহারে সম্পদ আর উন্নয়নের মেলবন্ধন রচনার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। যে কারণে ইস্তেহারে জোর দেওয়া হয়ছে বেকারত্ব হঠিয়ে কর্মসংস্থান এবং কৃষির উপর। একই সঙ্গে ইস্তেহারে জোর দেওয়া হয়েছে নারী সুরক্ষাতেও। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে।


শেয়ার করুন
  • 84
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

19 + 7 =