দেশ 

নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে পিএইচডি করলেন মেহুল চোকসি

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে পিএইচডি করলেন মেহুল চোকসি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী, মোদীর এই রাজনৈতিক সাফল্যের উপর গবেষণা করেছেন মেহুল।

সংবাদসংস্থা এএনআই-এর তরফে এই খবর প্রকাশিত করা হয়েছে। আর তার পরই এ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। কারণ, ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে শোধ না করে দেশ থেকে পালিয়েছে মেহুল চোকসি। তা নিয়ে প্রায়ই রোজই মোদীকে বিঁধতে ছাড়ে না কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

তবে সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, দুই মেহুল দু’জন আলাদা ব্যক্তি। যে মেহুল মোদীর উপর গবেষণা করেছেন তিনি গুজরাটের সুরাটের বাসিন্দা। এবং তিনি একজন ছাত্র। যে পালিয়েছে, সে অন্যজন।

জানা গিয়েছে, মেহুল চোকসি বীর নর্মদ দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। এর পর পিএইচডি করার জন্য তিনি বেছে নেন সরকারের নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে।

মেহুল চোকসি জানিয়েছেন, তিনি সাড়ে চারশো মানুষের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। সমীক্ষা করেছেন। প্রত্যেককে ৩২টি করে প্রশ্ন করা হয়। তার মূল বিষয় ছিল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বগুণ।

সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তালিকায় ছিলেন সরকারি আধিকারিক, কৃষক, ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতা। মেহুল জানিয়েছেন, ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন মোদীর বক্তৃতা দেওয়ার গুণ খুব ভালো। ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন রাজনৈতিক বিপণনে মোদী সেরা।

নেতা হিসেবে মোদী কি সফল, এই প্রশ্নও করেছিলেন মেহুল চোকসি। এর ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন ৫১ শতাংশ মানুষ। নেতিবাচক উত্তর দিয়েছেন ৩৪.২৫ শতাংশ মানুষ।

২০১০ সাল থেকে তিনি গবেষণা শুরু করেন। তখন নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাই সবটা নিয়েই গবেষণা করেছেন মেহুল।

তিনি জানিয়েছেন, ৪৬.৭৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন জনগণের ভালো করলে তবেই একজন নেতার জনপ্রিয়তা বাড়ে। ৮১ শতাংশ মানুষের মতে একজন প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচকভাবে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। ৩১ শতাংশ মানুষের মত প্রধানমন্ত্রীর সততা থাকা জরুরি। ৩৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর কাজের স্বচ্ছতা থাকা উচিত।

বীর নর্মদ দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের অধ্যাপক নীতীশ যোশীর অধীনে মেহুল এই গবেষণা করেছেন। নীতীশ জানান, এটা খুব আর্কষণীয় বিষয় ছিল। কারণ, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাজটা করা হয়েছে। তাছাড়া এমন একজনের সম্বন্ধে মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যিনি দেশের প্রশাসনের শীর্ষপদে রয়েছেন। ফলে নিরপেক্ষভাবে কাজটা করা খুবই কঠিন ছিল বলে মানছেন নীতীশ।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fourteen − 11 =