কলকাতা 

রাজ্যের ৭৭ হাজার বুথকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করার দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

শেয়ার করুন
  • 38
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে বিজেপি-র রবিশংকর প্রসাদ ও মুকুল রায়রা গিয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে রাজ্যে প্রতিটি বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা দাবি জানাচ্ছেন ঠিক তখনই কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রদেশ কংগ্রেস একই দাবি জানাল ।

গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার চোপড়ায় দুই কংগ্রেস কর্মীর খুন হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন তা জানতে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল । সেখানে গিয়ে সোমেন মিত্র জানতে চান তাদের যে দুজন কর্মী খুন হয়েছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কী পদক্ষেপ নিয়েছেন ? পরে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন ,”নিবার্চনের সময় কমিশন যদি কঠোর ভূমিকা পালন না করে, যদি রাজ্য প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে জেলা স্তরে সকলকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তারা যাতে ঠিকভাবে কাজ করে তা দেখতে হবে। কোনও এসপি বা ডিএম -এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। কিন্তু আমাদের অভিযোগ তারা পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছে রাজ্যের মন্ত্রীদের কথায়। এটা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর মুখ্যসচিবের কথায় এসপি বা ডিএম-রা চলবেন না। আইন নির্বাচনের সময় সিইও-ই আসল কথা। তাঁর নির্দেশ জেলা প্রশাসনকে মানতে হবে।”

Advertisement

চোপড়াতে দুই কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনাও আজ নির্বাচনে কমিশনে জানিয়েছেন তাঁরা। এবিষয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশের সামনে আমাদের কর্মীদের খুন করা হয়েছে। কেন এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হল না। এই পুলিশদের কেন সাসপেন্ড করা হবে না? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেনই বা কাউকে জেলাশাসককে তলব করা হল না।

আজ সোমেনবাবু এবিষয়ে জানতে চেয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। আমরা সিইওকে বললাম সেখানে গিয়ে দেখতে কী অবস্থা চলছে। পশ্চিমবঙ্গে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। ৭৭ হাজার বুথকে স্পর্শকাতর বুথ হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।”

পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। প্রদীপবাবুর কথার প্রসঙ্গ টেনে সোমেন মিত্র বলেন, “এই রাজ্যের পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। যে রাজ্যে পুলিশ কমিশনারকে নিরাপত্তা দিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দৌড়ে যেতে হয়। সেরাজ্যে পুলিশ কী করবে। এই বিষয়ে সিইও জানিয়েছেন তিনি চেষ্টা করবেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোট যাতে হতে পারে সেদিকে নজর রাখবেন।”


শেয়ার করুন
  • 38
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

11 + 19 =