জম্মু-কাশ্মীরে পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনার মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে অভিযোগে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের , জম্মু-কাশ্মীর ও কেন্দ্র সরকারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা এখন প্রতিদিনের বিষয় হয়ে উঠেছে । এবার এই বিষয় নিয়ে সেনার মানবাধিকার প্রশ্ন তুলেই মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। এক কর্মরত সেনা জওয়ান ও এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানের দুই মেয়ে এই মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের আর্জি, পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনা জওয়ানদের নিরাপত্তা দিতে হবে মানবাধিকার রক্ষার জন্য।
সোমবার সেই মামলা গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিসন বেঞ্চ। শুনানির শুরুতেই তাঁরা নোটিস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য সরকারকে।
একই সঙ্গে তাঁরা নোটিস দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও।আবেদনকারীদের একজন প্রীতি কেদার গোখলে। যাঁর বয়স মাত্র ১৯। আর দ্বিতীয়জন বছর ২০-র কাজল মিশ্র। নিজেদের আবেদনে তাঁরা জানিয়েছে, কাশ্মীরে সেনার উপর পাথর ছোড়ার ঘটনায় তাঁরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটাকে তাঁরা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেই মনে করছেন।
একই সঙ্গে ওই আবেদনে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, পাথরবাজদের থেকে বাঁচতে যখন পাল্টা প্রতিরোধ করেন সেনা জওয়ানরা, তখন কেন তাঁদের (সেনা জওয়ানদের) বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়?
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, প্রথমবার দোষ করায় ৯৭৬০ জন পাথরবাজের বিরুদ্ধে এফআইআর ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে ওই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন ওই তরুণী।
পাথর ছোড়ার এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে এর আগেও সরব হয়েছিলেন ওই কন্যা। তাঁরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মানবাধিকার কমিশনেও। সেই আবেদনের বিষয়টিও সোমবার তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন।