সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে ; রীতিমত পরিকল্পনা করে নিজের মেয়েকে লোক দিয়ে অপহরণ করিয়ে লাভপুরকে অশান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের চেষ্টা বিজেপি নেতার , পুলিশের নজরদারিতে গ্রেফতার কীর্তিমান বাবা
বাংলার জনরব ডেস্ক : সিনেমার পর্দাকে হার মানাল বীরভূমের বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যাল । নিজের মেয়ে লোক দিয়ে অপহরণ করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছিলের প্রাক্তন সিপিএম নেতা তথা বর্তমানের বিজেপি নেতা । আর এই অপহরণ কেন্দ্র করে লাভপুরে দূর্বার আন্দোলনও গড়ে তুলেছিলেন সুপ্রভাতবাবু । সব কিছুই চলছিল নিয়ম মেনেই । কিন্ত পুলিশের নজরে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে গ্রেফতার কীর্তিমান বিজেপি নেতা ।
পুলিশ জানিয়েছেন এই অপহরণের ঘটনা পুর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো। রীতিমতো পরিকল্পনা করে মেয়েকে অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের পিছনে রাজনীতির গন্ধ রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ তদন্তে নেমে ডালখোলা থেকে ‘অপহৃত’ তরুণীকে উদ্ধার করে। ডালখোলা থেকেই গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত দুই যুবক অপহৃতা মহিলার বাবার পূর্ব পরিচিত।
এই অপহরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালকেও। তিনি আগে সিপিএম করতেন। এখন বিজেপির নেতা। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই তিনি এই পরিকল্পনা করেন। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির বাসিন্দা দুই যুবককে দিয়ে পরিকল্পনা করিয়ে এই ‘অপহরণ’ সংঘটিত করা হয় । পুলিশ তদের গ্রেফতারের করে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পেরেছে, ঘটনার আগের দিন দুই যুবকের সঙ্গে কথা হয় সুপ্রভাত বটব্যালের। পুলিশের দাবি, তখনই পরিকল্পনা কষা হয় অপহরণের। ওই দুই যুবক পরিকল্পনা মতোই কপালে বন্দুক দেখিয়ে বিজেপি নেতার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর দুই যুবক ওই মহিলাকে নিয়ে চলে যায় সোজা ডালখোলা। অপহৃতা বিজেপি নেতার মেয়ে এই পরিকল্পনার বিষয়টি জানতেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে তরুণী তাঁকে নিয়ে যেতে সে অর্থে কোনও বাধা দেয়নি বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
উদ্ধারের পর অপহৃতা তরুণী ট্রমাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন। ফলে তাঁকে জেরা করতে পারছে না পুলিশ। তাঁকে জেরা করলেই আরও অনেক সত্য সামনে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। তারপর তিনদিন ভর জ্বলছিল লাভপুর। শনিবার তৃণমূলের বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে হেনস্থা করা হয়।