জেলা 

শাসক দলের যুব নেতা ও বিধায়ক খুনে বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ ৫ জনের নামে এফআইআর দায়ের স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ; আজ গেলেন পার্থ সোমবার যাবেন অভিষেক

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শাসক দলের যুব নেতা ও কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । প্রত্যক্ষদর্শী তথা স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূলকর্মী এই এফআইআর দায়ের করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ নিজের এলাকায় মতুয়াদের নিয়ে সফল সম্মেলন করায় বিধায়কের উপর রাগ গিয়ে পড়েছিল বিজেপি-র। তার জেরেই তাঁকে খুন হতে হল বলে অভিযোগ করেছেন নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত এবং কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা অসীম সাহা। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে । ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছে সিআইডির-এর একটি প্রতিনিধি দল। আজ সকালেই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল এলাকায় যান । সোমবার আসছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

দলের বিধায়ক খুনের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “সুশীল বিশ্বাসের(কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক ছিলেন) মৃত্যুর পর কৃষ্ণগঞ্জে উপনির্বাচন হয়। অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম বলেছিল, এই আসনে হেরে যাবে তৃণমূল। পরে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে সর্বোচ্চ মার্জিনে জিতেছে তৃণমূল। তখন থেকেই সত্যজিৎ বিজেপি-র এবং মুকুল রায়ের ঘোষিত শত্রু। ২০১৬-তেও উনি বহু মার্জিনে জিতেছিলেন। পরবর্তীকালে বিজেপি যখন মতুয়াদের নিয়ে টানাটানি করছে, তখন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া মহাসম্মেলন করেন সত্যজিৎ। উনি সাংগাঠনিক দায়িত্বে ছিলেন। এতে বিজেপি-র রাগ হয়। তার কয়েকদিন আগে বা পরে মুকুল রায় এসে ঘোষণাও করেন, দেখে নেবেন। এবং সেই দেখে নেওয়ার ফল এই। বিজেপি খুনের রাজনীতি শুরু করল। মুকুল রায়ের মতো গদ্দার খুনের সমস্ত ষড়ষন্ত্র হ্যাচ করছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে এর মোকাবিলা করব, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করব।” সত্যজিৎবাবু শুধু তাঁর সহকর্মীই ছিলেন না, ছিলেন ছোটো ভাই-সন্তানের মতোও। এই দাবি করে গৌরীশংকরবাবু বলেন, “দেড়-দুবছর আগে ওঁর বিয়ে হয়েছে। আমি দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছি। তাই ব্যক্তিগতভাবে যন্ত্রণায় ভুগছি।”

Advertisement

ঘটনাপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ফুলবাড়ি ফুটবল খেলার মাঠে একটি সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ। মন্ত্রী রত্না ঘোষও ছিলেন। তিনি বেরিয়ে গেছিলেন। সত্যজিৎ গান শুনবেন বলে বসেছিলেন। উনি বসে থাকাকালীন জনা চারেক বিজেপি কর্মী এসে ওঁকে ঘিরে ধরে গুলি করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আছে। এফআইআর করেছে। এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

two × four =