নদীয়ার তৃণমূলের যুব নেতা ও বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনকে ঘিরে রহস্য দানা বাধছে
বাংলার জনরব ডেস্ক : কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুন নিয়ে রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে । জানা গেছে , বিধায়ক হিসেবে এক জন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাকে ওই দিন ছুটি দেওয়া হয় । নিরাপত্তা রক্ষী যে ছুটিতে আছেন, তা আততায়ীরা বেশ ভালো করেই জানত। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চেয়েছে । নিরাপত্তারক্ষীকে ছুটিতে পাঠানো নিয়ম মাফিক হয়েছে কিনা তাও তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত করে দেখছে । এই ঘটনারই পরই হাঁসখালি থানার আইসি–কে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ , ওই দিন অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ১০–১১ বার লোডশেডিং হয়। আততায়ীদের নীলনকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই লোডশেডিং করা হয় বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে।পুলিশ সূত্রে খবর, বিধায়ক খুনের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। একই ভাবে আটক করা হয়েছে তিন সন্দেহজনকে। তাদের জেরা করছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি–ও। তাদের নজরেও রয়েছে এক বছর তিরিশের যুবক। ঘটনাস্থল থেকে যাকে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনার পরও যাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি গ্রামে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সরস্বতী পুজোর একটি মণ্ডপ উদ্বোধনের জন্য তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই ঘটে যায় ঘটনা। দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকেই তাঁর কপালে গুলি করে চম্পট দেয়। গুলিবিদ্ধ বিধায়ককে দ্রুত শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত ২০১৫ সালে উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন সত্যজিৎ। একই ভাবে পরের বছর ২০১৬–তেও বিপুল ভোটে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি। নদিয়া জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি দলের তরফে নদিয়ায় মতুয়া সংগঠনেরও দায়িত্ব সামলাতেন তিনি।